Primary Teacher Recruitment

Calcutta High Court: ফরেন্সিকে নিয়োগ-নথি পরীক্ষায় আপত্তি কেন, প্রশ্ন কোর্টের

উচ্চ আদালত সূত্রের খবর, রাজ্য ও পর্ষদের কাছে এই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২২ ০৫:৪৪
Share:

ফাইল চিত্র।

সিবিআই তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎগঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নথি কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তাতে আপত্তি তোলা হচ্ছে কেন?

Advertisement

মঙ্গলবার রাজ্য সরকার এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এই প্রশ্ন করে কলকাতা হাই কোর্ট। উচ্চ আদালত সূত্রের খবর, রাজ্য ও পর্ষদের কাছে এই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। নিয়োগ পরীক্ষায় ‘ভুল’ প্রশ্নের জন্য কিছু প্রার্থীকে নম্বর দেওয়ার কথা সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিকালে কোর্টে জানানো হয়েছিল কি না, সেই জিজ্ঞাসার জবাবে অবশ্য রাজ্যের তরফে বলা হয়, নম্বরের বিষয়টি জানানো হয়নি।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই আপিল মামলাতেই সরকার ও পর্ষদ এ দিন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লোপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়ে।

Advertisement

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অন্য একটি জনস্বার্থ মামলায় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে এ দিন কিছু নথি জমা দেন মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ওই সব নথিতে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির জন্য শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতার সুপারিশ রয়েছে। এবং সেই সব সুপারিশ করা হয়েছে দলীয় প্যাডেই। সুপারিশকারী নেতাদের তালিকায় নাম রয়েছে বর্তমান মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরিরও। অখিলবাবু অবশ্য বলেন, “দলের বিভিন্ন অফিসে এমনিতেই বিধায়কের প্যাড থাকে। এলাকার বাসিন্দাদের

যে-কোনও প্রয়োজনেই তাঁরা তা নিয়ে যান। তবে যে-প্যাডের কথা বলা হচ্ছে, তাতে আমার নিজের সই আছে কি না, যাচাই করে দেখা প্রয়োজন।”

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে এই প্রথম মামলা হচ্ছে না। এর আগে টেট বা প্রাথমিক শিক্ষকের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষার ভুল প্রশ্ন নিয়েও মামলা হয়েছে। এ দিন ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার প্রসঙ্গও ওঠে। কারণ, যে-সব প্রার্থীকে (২৬৯ জন) বেআইনি ভাবে নিয়োগ করার কথা এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ভুল প্রশ্নের জন্য তাঁদের নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছিল পর্ষদ। ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জানতে চায়, ওই মামলার শুনানি পর্বে পর্ষদ কি এই বাড়তি নম্বর দেওয়ার বিষয়টি কোর্টে জানিয়েছিল? পর্ষদের আইনজীবী জানান, তাঁরা সেই সময় ওই তথ্য কোর্টে জানাননি। মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, যে-প্রশ্ন ভুল ছিল বলে ২৬৯ জন প্রার্থীকে নম্বর দেওয়া হয়েছে, আগের মামলায় সেই প্রশ্নেরও উল্লেখ ছিল। কাল, বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement