আগামী ২১ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে মামলাটির। ফাইল চিত্র।
উচ্চ প্রাথমিকের শারীর শিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে আবার স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এ বার আদালত জানিয়ে দিয়েছে, আগামী এক মাস তারা ওই বিভাগে কোনও শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না।
উচ্চ প্রাথমিকের এই দুই বিভাগে ১৬০০ নতুন শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল এসএসসি। যা যথাযথ নয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। বস্তুত, এসএসসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা অবৈধ ভাবে চাকরি পাওয়া ‘শিক্ষক’দের বাঁচাতেই ওই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে তড়িঘড়ি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করছে। বুধবার এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাই কোর্ট জানিয়ে দিল আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত উচ্চ প্রাথমিকের প্রথম এসএলএসটির শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিভাগে কোনও শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না এসএসসি।
বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে বিচারপতি বসুর নির্দেশেই গত ১৮ নভেম্বর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে। তারও আগে ১০ নভেম্বর থেকে শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিভাগে কাউন্সেলিং শুরুর কথা ঘোষণা করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন কর্তৃপক্ষ। মোট ১,৬০০ চাকরিপ্রার্থীকে সুপারিশপত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় এসএসসির তরফ থেকে। এর মধ্যে কর্মশিক্ষায় চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ৭৫০ এবং শারীরশিক্ষায় চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ৮৫০। এসএসসি এ-ও জানায় যে, কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত চাকরিপ্রার্থীদেরই সুপারিশপত্র দেওয়া হবে এসএসসি-র তরফে। তবে সেই ঘোষণার ৮ দিনের মাথায় আদালতের স্থগিতাদেশ জারি হয় নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। বুধবার যার মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ল। আগামী ২১ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে মামলাটির। সেখানেই অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, বুধবার এই অবৈধ ভাবে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের কথা বলতে গিয়ে রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, ‘‘শহর এবং শহরতলিতে বহু স্কুল আছে যেখানে ছাত্র আছে, শিক্ষক নেই। যদি সম্ভব হয় এই শিক্ষকদের গ্রামের স্কুলে পাঠান। তা হলে ভাল হয়। গ্রামাঞ্চলের বহু স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। তাঁদের বলুন, হয় গ্রামের স্কুলে যান, না হলে চাকরি ছেড়ে দিন।’’
ছাত্র এবং শিক্ষকের অনুপাতে সামঞ্জস্য বিধান করার ব্যাপারেও রাজ্যকে নজর দিতে বলেছেন বিচারপতি। এ ব্যাপারে রাজ্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিচারপতি বলেন, ‘‘প্রয়োজনে এ বিষয়ে রাজ্যকে উপযুক্ত নীতি নির্ধারণ করতে হবে।’’