পরিবেশবান্ধব বাজি ব্যবহার করতে হবে কালীপুজোয়। —ফাইল ছবি
কালীপুজোয় সবুজ বাজি বিক্রি ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে নজরদারি চালাবে দুই কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানও, বাজি নিয়ে মামলায় এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (নিরি) এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অরগানাইজেশন (পেসো)-কে রাজ্যের বাজি বাজারে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বস্তুত, গত বছর এই মামলায় রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, এখানে পরিবেশবান্ধব বা ‘সবুজ’ বাজি তৈরির পরিকাঠামো নেই। আদালতের নির্দেশে সেই ধরনের বাজি তৈরি ও বিক্রির বিষয়টি মূলত তদারকি করবে পেসো ও নিরি। সেই সঙ্গে বাজারেও নজরদারি চালাবে তারা।
মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ বাজি মামলার শুনানিতে জানায়, কলকাতার বাজি বাজারে যাতে শুধু ‘সবুজ’ বাজি বিক্রি হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। আদালতের নির্দেশ কার্যকর হল কি না, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। ছুটির পর আদালত খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট ও পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে ‘সবুজ’ বাজি তৈরি ও বিক্রির বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে সহযোগিতা করবে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান পেসো ও নিরি। বাজির বাজারে কড়া নজরদারি চালাতে হবে।
পরিবেশ রক্ষার্থে সমস্ত বাজি বন্ধ করার দাবিতে গত বছর কলকাতা হাই কোর্টে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ‘সবুজ’ বাজি উৎপাদনের পরিকাঠামো এ রাজ্যে না থাকায় বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল আদালত। কয়েকটি বাজি সংগঠন হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। শীর্ষ আদালতও জানায়, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সবুজ সঙ্কেত নিয়ে পরিবেশবান্ধব বাজি ব্যবহার করতে হবে। এ বছর সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে দুই কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিল হাই কোর্ট।