Enforcement Directorate

খাতা বিকৃতি, ইডি যুক্ত হচ্ছে মামলায়

মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ও গোপা বিশ্বাস এ দিন জানান, অবৈধ ভাবে ১৮০ জনকে নিয়োগ তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার কথা সামনে এসেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:১২
Share:

নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এবার ইডি। ছবি সংগৃহীত।

রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করলেও ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এত দিন কলকাতা হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট মামলায় পক্ষ হিসেবে যুক্ত ছিল না। বুধবার সেই মামলায় ইডি-কেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই মামলায় নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে নিয়োগেরক্ষেত্রে ‘ওএমআর শিট’ বা উত্তরপত্র বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে।তার পিছনে যে-‘টাকার খেলা’ রয়েছে, হাই কোর্টের এ দিনের নির্দেশে সেটা মান্যতা পেল বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, ইডি মূলত টাকার বেআইনি লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করে। ইডি-কে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশের পাশাপাশি বিচারপতি নবম-দশম শ্রেণির খালি পড়ে থাকা পদে নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছেন।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, হাই কোর্টের নির্দেশে নবম-দশমে নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্ত করছিল সিবিআই। উত্তরপত্র বিকৃত করে যাঁদের অবৈধ ভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের কাছ থেকে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ দিন মূলত সেই লেনদেন নিয়েই ইডি-কে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে আইন ও শিক্ষা শিবির-সহ অনেকের দাবি।

মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ও গোপা বিশ্বাস এ দিন জানান, অবৈধ ভাবে ১৮০ জনকে নিয়োগ তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার কথা সামনে এসেছিল। যদিও এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য, ওই ১৮০ জনের মধ্যে কমবেশি ১০০ জন চাকরিতে যোগ দেননি। বিচারপতি ওই ১০০টি শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন এসএসসি-কে।

Advertisement

ফিরদৌস বলেন, ‘‘এই প্রথম নিয়োগ-দুর্নীতির কোনও মামলায় ইডি-কে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হল। একই সঙ্গে অযোগ্যদের বদলে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করতে বলেছে আদালত।’’ ওই আইনজীবী জানান, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে নিয়োগ পরীক্ষার বিকৃত উত্তরপত্র এসএসসি-কে আপলোড করতে হবে। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাউন্সেলিং এবং ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে হাই কোর্ট।

এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের কিছু বলার নেই। আদালত যা নির্দেশ দেবে, আমরা সেই অনুযায়ী চলব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement