শৌভিক ভট্টাচার্য (বাঁ দিকে) এবং মানিক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যকে শুক্রবার জামিন দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। শুনানিতে ইডির তরফে দাবি করা হয় যে, তাঁর বিরুদ্ধে নতুন তথ্য রয়েছে। যদিও ইডির দাবি অস্বীকার করেন মানিকের ছেলের আইনজীবী। তিনি জানান, ইডির তথ্যে আপত্তি জানিয়ে হলফনামা দিতে চান তাঁর মক্কেল। ওই আর্জি মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শুক্রবার শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে জানান, একটি ক্লাবের আর্থিক লেনদেনে জড়িত শৌভিক। কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তাঁর সরাসরি যোগ রয়েছে। যদিও এই দাবির বিরোধিতা করেন শৌভিকের আইনজীবী।
নিয়োগ মামলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল মানিকের স্ত্রী শতরূপা এবং তাঁদের পুত্র শৌভিককে। দু’জনেরই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পরে গত ৭ অগস্ট শতরূপার জামিন মঞ্জুর হয়। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, শতরূপা যে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা নিয়েছেন, সেই প্রমাণ দেখাতে পারেনি ইডি। প্রথম বার সমন পেয়েই তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। তা হলে শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে দ্বিতীয় দিন তাঁকে কেন আটক করা হল? এ ব্যাপারে মানিকের নাম করে বিচারপতি ঘোষ বলেন, ‘‘মানিক অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে টাকার যোগসূত্র রয়েছে। কিন্তু শতরূপাও যে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, তার কোনও তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর যদি প্রমাণ থেকেই থাকে তবে প্রথমেই তাঁকে কেন গ্রেফতার করল না ইডি?’’
এর পর শতরূপাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়। আদালত জানিয়েছিল, এক লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন পাবেন শতরূপা। তিনি রাজ্যের বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না। এ ছাড়া, তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে ইডির কাছে। তার পরেই মানিক এবং শতরূপার পুত্র শৌভিকও জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন।