বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি একটি নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশনকে। সঙ্গে দিয়েছিলেন একটি কড়া বার্তা— যথাসময়ে নির্দেশ না মানলে পদক্ষেপ করা হবে কমিশনের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে সেই সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ পালন করেনি কলেজ সার্ভিস কমিশন। এর মধ্যে এক ঘণ্টা বাড়তি সময় দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু তার পরও কমিশন নির্দেশ না মানায় বিচারপতি পুলিশকে নির্দেশ দিলেন কমিশনের চেয়ারম্যানকে ধরে আনার।
কলেজে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলার শুনানিতে শুক্রবার রাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে। তিনি বলেছেন, ‘‘রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক করকে আদালতে হাজির করুন।’’
স্কুলে নিয়োগের মতোই কলেজে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। তিনি বলেছিলেন, ২০২৩ সালে কলেজে নিয়োগের যে প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে অস্বচ্ছতা ছিল। সেই মামলাতেই কলকাতা হাই কোর্টে অবিলম্বে ওই প্যানেল এনে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
শুক্রবার রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশনকে বিচারপতি ওই নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন এক ঘণ্টার মধ্যে ওই বিতর্কিত প্যানেল বা নিয়োগের তালিকা জমা দিতে হবে হাই কোর্টে তাঁর এজলাসে। বিচারপতি বলেন, ‘‘বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটের মধ্যে ওই বিতর্কিত প্যানেল নিয়ে আসুন। জমা দিন আদালতে।’’ একই সঙ্গে জানিয়ে দেন, সময়ে প্যানেল আনতে না পারলে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও কমিশন নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও সেই নির্দেশ পালন করেনি।
বিচারপতি এর পর কমিশনকে বাড়তি সময় দেন। তার পরও কমিশন নির্দেশ পালন না করায় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ বিচারপতি কমিশনের চেয়ারম্যান দীপককে আদালতে পেশ করানোর নির্দেশ দেন। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে বলেন, ‘‘রাত সাড়ে আটটার মধ্যেই কমিশনের চেয়ারম্যানকে আদালতে হাজির করান।’’