গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বাঁকুড়ার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে শিশু পাচারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল হাইকোর্ট। আপাতত সিআইডি তদন্তে আস্থা রাখছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এ বছরের জুলাইয়ে শিশু পাচারের অভিযোগ ওঠে বাঁকুড়ার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে। এই ঘটনায় স্কুলের প্রিন্সিপাল কমলকুমার রাজোরিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার সিআইডি তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। সেই মামলায় সোমবার রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেন তাঁরা এই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হননি। তদন্তের অগ্রগতি সাত দিনের মধ্যে ফের হলফনামা আকারে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ ডিসেম্বর।
অভিযোগ, গত জুলাইয়ে স্কুল লাগোয়া বাঁকুড়া-পুরুলিয়া জাতীয় সড়কের উপর একটি মারুতি ভ্যানে দু’টি শিশুকে জোর করে তোলার চেষ্টা করছিলেন কমলকুমার। সে সময় ওই ভ্যানের ভিতর বসেছিলেন দুই মহিলা। তাঁদের সঙ্গে গাড়ির মধ্যে বসেছিল আরও দু’টি শিশু। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় কালপাথর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুব্রত সাহানা চিৎকার করতে শুরু করেন। তাঁর চিৎকারে স্থানীয় বেশ কিছু মানুষ ছুটে আসেন। তা দেখে পালিয়ে যান অধ্যক্ষ।
স্থানীয়রা গাড়ির ভেতর থাকা দুই মহিলা ও মোট চার শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তাঁদের অসংলগ্ন কথায় সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। খবর পেয়ে সেখানে আসে পুলিশ। শিশুপাচার-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমলকুমার-সহ মোট আট জনকে গ্রেফতার করা হয়। অধ্যক্ষ এবং এবং ধৃত শিক্ষিকার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পাঁচ শিশুকন্যাকে।