—প্রতীকী ছবি।
নিয়োগের দাবিতে মিছিল করতে চান রাজ্যের গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীরা। যে রুট দিয়ে তাঁরা মিছিল করতে চান, তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
এ নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। সোমবার সেই মামলায় রাজ্যের কৌঁসুলিকে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর প্রশ্ন, ‘‘মিছিল এর গতি পথ নিয়ে রাজ্যের কোথায় অসুবিধা? আদালতকে তা জানাতে হবে আগামী কাল (মঙ্গলবার)। আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন রাজ্য ওই রাস্তায় মিছিল এ বাধা দিচ্ছে, তা জানাতে হবে রাজ্যকে।’’
অভিযোগ, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার ওই মিছিল ক্যামাক স্ট্রিটে যাতে না ঢোকে, তা নিয়ে ‘অতিসক্রিয়’ রাজ্য। এ দিন আদালতেও সেই আবেদন জানায় রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি। যা নিয়ে রীতিমত বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টে বঞ্চিত গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীরা মিছিলের জন্য অনুমতির আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, হাজরা মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে হাজরা মোড়েই তা শেষ হবে। গত শুনানিতে বিচারপতি সেনগুপ্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা একটায় এই মিছিল শুরু হবে। শেষ হবে বিকেল পাঁচটায়। মিছিল থিয়েটার রোড, ক্যামাক স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে শুরু হয়ে নিজাম প্যালেসের সামনে দিয়ে এক্সাইড মোড়ে এসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রোড হয়ে হাজরা মোড় পর্যন্ত যাবে।
সে দিন রাজ্য এই নির্দেশ মেনে নিলেও সোমবার আদালতে এসে জানায় ওই পথে, মূলত ক্যামাক স্ট্রিট দিয়ে মিছিল করা সম্ভব নয়। তারপরই বিচারপতি রাজ্যকে নতুন করে আবার হলফনামা দিতে বলেন।
এ দিন আদালতে বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘আগে রাজি হলেন কেন? তখন কেন আপত্তি করেননি?’’ রাজ্যের কৌঁসুলি যুক্তি দেন, মিছিলের রাস্তায় শ্রী শিক্ষায়তন-সহ আরও চারটে স্কুল আছে। ক্যাম্যাক স্ট্রিটের আশপাশেও বেশ কিছু স্কুল আছে। তাই অসুবিধা হতে পারে। মামলাকারীদের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বক্তব্য, ওই রাস্তায় একজন ‘বিশেষ’ মানুষের অফিস আছে। তাই এখন পুলিশ ওই রাস্তায় মিছিল ঢুকতে দিতেচাইছেন না।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, ‘‘শ্রী শিক্ষায়তন, অভিনব ভারতী, লা মার্টিনিয়ার, সুশীলা বিড়লা-সহ কোনও স্কুলই এই রাস্তায় পড়ছে না। তাই, স্কুলের সমস্যা হবে বলে লাভ নেই।’’ বিচারপতির নির্দেশ, রাজ্য নতুন কী রুট চাইছে, তার মানচিত্র উল্লেখ করে আজ মঙ্গলবার রাজ্যকে হলফনামা দিতে হবে।