ফাইল চিত্র।
ব্যক্তিগত জরিমানা হয়েছে আগেই। এ বার আদালত অবমাননার মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে যুক্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার এই নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গেই তাঁর নির্দেশ, যাঁরা ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ বা টেটে বিভিন্ন ভুল প্রশ্নের উত্তর লিখেছিলেন, তাঁদের তিন সপ্তাহের মধ্যে ওই প্রশ্নের পূর্ণমান ছ’নম্বর দিতে হবে। ৪ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হয়েছে ।
হাই কোর্টেরই বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, টেটের ভুল প্রশ্ন নিয়ে যাঁরা মামলা করেছিলেন, তাঁদের সেই সব ভুল প্রশ্নের জন্য ছ’নম্বর দিতেই হবে। যাঁরা ২০১৪ সালের টেটের ভুল প্রশ্নগুলির উত্তর লিখেছিলেন, ছ’নম্বর দিতে হবে তাঁদেরও।
কিন্তু সেই নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়নি এবং তাতে আদালত অবমাননা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সম্প্রতি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। কেন তিনি বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ মানেননি, তা জানতে চেয়েই এ বার আদালত অবমাননা মামলায় পর্ষদের সভাপতিকে যুক্ত করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রের খবর।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন নির্দেশ দেন, ২০১৮ অক্টোবর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশ তিন সপ্তাহের মধ্যে রূপায়িত করতে হবে। অর্থাৎ যাঁরা ভুল প্রশ্নের উত্তর লিখেছেন, তাঁদের সকলকে ছ’নম্বর দিতে হবে। এর আগের শুনানিতে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে ছ’টি প্রশ্ন ভুল থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের তিন লক্ষ আশি হাজার টাকা জরিমানা করেছিল হাই কোর্ট। উচ্চ আদালত জানিয়েছিল, মানিকবাবুকে নিজের রোজগার থেকে ১৯ জন মামলাকারীর প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে।