Calcutta High Court

শিক্ষক নিয়োগে আবার কোর্টে তিরস্কৃত সরকার

এ দিন বিচারপতি বসু প্রশ্ন করেন, সিআইডি তিন জনের সিট গঠন করেছে, কী তদন্ত করেছেন তাঁরা? তদন্ত কত দূর এগিয়েছে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৯
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বেআইনি শিক্ষক মামলায় তিরস্কারের মুখে পড়ল রাজ্য।

Advertisement

ওই মামলায় সোমবার রাজ্যের সব জেলা স্কুল পরিদর্শকের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা জমা পড়েনি। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, "আজ রাজ্য রিপোর্ট নিয়ে এলে মামলা এগিয়ে যেত। কী ভাবে এত উদাসীন হচ্ছে রাজ্য?" এ দিন অবশ্য আদালতের নির্দেশ অনুসারে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর সদস্যেরা কোর্টে হাজির ছিলেন। আগামী বৃহস্পতিবার আবার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা। সে দিনই ওই রিপোর্ট রাজ্যকে জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রথমে মুর্শিদাবাদের গোঠা স্কুলে জাল নথি দিয়ে চাকরির ঘটনা সামনে এসেছিল। তার পরে বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরেও বেআইনি নিয়োগ সামনে এসেছে। এই মামলায় সম্প্রতি উঠে এসেছে জিটিএ আওতাভুক্ত এলাকায় স্কুলে বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের কথাও। সেই মামলা সিআইডি করতে পারবে কি না, তা জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। প্রাথমিক ভাবে অনুসন্ধান করতে বলেন সিবিআইকে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, রাজ্য ভিজিল্যান্সের নিয়ম এবং সিবিআইয়ের তদন্তের নিয়মাবলি কোর্ট খতিয়ে দেখবে।

Advertisement

এ দিন বিচারপতি বসু প্রশ্ন করেন, সিআইডি তিন জনের সিট গঠন করেছে, কী তদন্ত করেছেন তাঁরা? তদন্ত কত দূর এগিয়েছে? স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর পশ্চিমাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সিরাজুদ্দিনকে কি গ্রেফতার করা হয়েছে? প্রসঙ্গত, সিরাজুদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে বেআইনি ভাবে স্কুলে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁকে গ্রেফতারও করেছে সিআইডি।

রাজ্যের আইনজীবী রুদ্র নন্দী এ দিন আদালতে জানান, গোঠা স্কুলের মামলায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি এবং অভিযুক্ত শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারিকে (সম্পর্কে বাবা ও ছেলে) গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তী কালে জেসমিন খাতুন এবং শুভেন্দু হাটুয়াকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সিআইডি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে বলেও তিনি জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement