দু’সপ্তাহের মধ্যে নতুন ভাবে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসিকে। প্রতীকী ছবি।
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতা বহু কালের। প্রায় সাত বছর ধরে নিয়োগ আটকে আছে ওই স্তরে। এক সময় পুরনো মেধা-তালিকা বাতিল করে নতুন ভাবে তালিকা তৈরির নির্দেশও দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বা যৌথ বেঞ্চ শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে, উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউয়ের সবিস্তার নম্বর, অনলাইন আবেদনপত্র-সহ সব তথ্য দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।
এসএসসি সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক কালে উত্তরপত্র নিয়ে বিতর্কের জেরে তারা ফের উত্তরপত্র খতিয়ে দেখেছে। মোট ১৪,০৫২ উত্তরপত্রের মধ্যে বাতিল হয়েছে ১৪৬৩। তার ফলে মেধা-তালিকা তৈরি হয়েছে ১২,৫৮৯ জনের। চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, এসএসসি ইন্টারভিউয়ের পরে ফের উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে। সে-ক্ষেত্রে ফের অনলাইন আবেদনের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। কারণ, এসএসসি-র অন্যান্য নিয়োগে ইতিমধ্যেই উত্তরপত্র বিকৃত করে নম্বর কমানো-বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এর পাশাপাশি গত সাত বছর ধরে নিয়োগ আটকে থাকার ফলে শূন্য পদও বেড়েছে। সেই শূন্য পদের সংখ্যাও ‘আপডেট’ বা হালতামামি করা উচিত বলে জানান তিনি। তাঁর দাবি, শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী ৬-১৪ বছর পর্যন্ত প্রত্যেক শিশুর শিক্ষার অধিকার আছে। তাই উচ্চ প্রাথমিকে যত শূন্য পদ আছে, সব ক’টিই পূরণ করতে হবে। অথচ এসএসসি সাত বছর আগের শূন্য পদ ধরে বসে আছে।