কেডি সিংহ। —ফাইল চিত্র
রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ কেডি সিংহের সংস্থা ‘অ্যালকেমিস্ট’-এর যাবতীয় স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি কেনাবেচার উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার জানিয়ে দিয়েছে, হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া দেশে ও বিদেশে অ্যালকেমিস্টের কোনও সম্পত্তি কেনাবেচা করা যাবে না।
সিকিয়োরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)-র একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সেবি সম্প্রতি একটি হলফনামা দাখিল করে আদালতে জানিয়েছিল, কেডি তাঁর সংস্থার মাধ্যমে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা বিদেশে সরানোর চেষ্টা করছেন। কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে অ্যলকেমিস্টের টাকা পাচারের তদন্ত করানো দরকার।
এ দিন সেবি-র আইনজীবী হীরক মিত্র অভিযোগ করেন, ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশে সরানোর চেষ্টা করছে কেডি-র সংস্থা। সেই সঙ্গে সাইপ্রাসে এক কোটি ইউরো পাচারের চেষ্টা এবং এ দেশে বেনামে একটি সংস্থা কেনারও চেষ্টা চলছে। তার উপরে বিদেশে থাকার পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন জানাতে চলেছেন কেডি। তদন্তের স্বার্থে সব তথ্যপ্রমাণ প্রকাশ্যে আনা যাচ্ছে না।
পাল্টা সওয়ালে অ্যালকেমিস্টের আইনজীবী শ্যামল সরকার জানান, কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত একতরফা কোনও সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে না। সেবি-কে আগে তাদের অভিযোগের সমর্থনে তথ্যপ্রমাণ দিতে হবে তাঁর মক্কেলের হাতে। ডিভিশন বেঞ্চ সেবি-র কৌঁসুলিকে জানায়, অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে আদালতের অনুমতির দরকার নেই। আদালত সেবি-কে তদন্ত চালাতে বা বন্ধ করতে বলতে পারে না। কিন্তু সেবি যদি আগ বাড়িয়ে আদালতের অনুমতি চায় এবং কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে হলফনামা দিয়ে অভিযোগ তোলে, অভিযোগের নথি সেই সংস্থার হাতে দিতে হবে।
অ্যালকেমিস্টের আমানতকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও অরিন্দম দাস ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান, সংস্থার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি কেনাবেচার উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হোক।