পশ্চিমবঙ্গে শতাধিক পুরসভার ভোট বকেয়া।
পশ্চিমবঙ্গে শতাধিক পুরসভার ভোট বকেয়া। তা সত্ত্বেও সর্বত্র পুরসভার ভোট একসঙ্গে হচ্ছে না কেন, সেই ব্যাপারে এ বার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট।
মঙ্গলবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে কমিশনের আইনজীবী সোনাল সিনহা জানান, তারা এ ব্যাপারে সবিস্তার বক্তব্য পেশ করতে চান। আগামী সপ্তাহে হলফনামার আকারে সেই বক্তব্য পেশ করতে বলা হয়েছে। মামলাকারীও তাঁর বক্তব্য জানাতে পারবেন।
বকেয়া থাকা সত্ত্বেও কেন সব পুরসভার নির্বাচন একসঙ্গে হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে বিরোধী শিবির সরব হয়েছে। আপাতত দু’টি পুরসভা— কলকাতা ও হাওড়ায় ভোট করাতে চায় নবান্ন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনও তাতে সায় দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ভোট নিয়ে এক দফা বৈঠক হয়েছে কমিশন এবং রাজ্যের কর্তাদের মধ্যে। তার পরেও কমিশনের তরফে কী ধরনের সবিস্তার বক্তব্য পেশ করা হতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকের প্রশ্ন, আইনি জটিলতা ও কোভিড পরিস্থিতিকে সামনে রেখে কমিশন কি পুরভোট নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিতে পারে? কমিশন সূত্রে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
তবে পুরভোট নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা নেই বলেই মনে করেন পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আদালত যে-হলফনামা চেয়েছে, তা তো স্বাভাবিক। নিশ্চয়ই দেওয়া হবে।” বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী জানান, তাঁদের দলের রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় পুরভোট নিয়ে মামলা করেছেন। বিচারাধীন বিষয়ে তিনি এখন কিছু বলবেন না। তার পরেই তিনি বলেন, ‘‘আমার আশ্চর্য লাগছে, হাওড়া থাকল, অথচ বালি বাদ চলে গেল! সংরক্ষণ সংক্রান্ত পুনর্বিন্যাসের কী হবে? আর সব পুরসভার ভোটের গণনাই বা একসঙ্গে হবে না কেন? এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন? আসলে পুর এলাকার ভোটারদের উপরে তৃণমূল কংগ্রেসের আস্থা নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশন যখন আমাদের নিরাপত্তা দেবে না, তখন আমাদের তরফে আইনের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় কী!”