—ফাইল চিত্র।
রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের কাছে ছাত্রছাত্রীদের জাতি-শংসাপত্র নিয়ে হলফনামা চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, মামলায় যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের জাতির শংসাপত্র মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। হলফনামায় ওই পড়ুয়াদের নাম, ঠিকানা জানাতে হবে। আগামী ৩ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
চলতি বছর ৭ মে মেডিক্যালের ‘নিট’ পরীক্ষা হয়। গত ১৩ জুলাই ফল প্রকাশ হয়। এর পরেই আদালতে মামলা করেন ইতিশা সোরেন নামে এক পরীক্ষার্থী। তিনি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের। মেধাতালিকায় তাঁর স্থান ছিল ২৮,৩১৯ নম্বরে। তাঁর বক্তব্য, দু’বার কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হলেও কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি তাঁকে। বলা হয়, সংরক্ষিত আসন পূরণ হয়ে গিয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য আদালতে সওয়াল করেন, তফসিলি জনজাতি নন, এমন অনেককেই এই সংরক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যার কারণে তাঁর মক্কেল সরকারি কলেজে সুযোগ পাননি। এই অবস্থায় বেসরকারি কলেজে মেডিক্যাল পড়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য তাঁর নেই। বঞ্চনার শিকার না হলে তাঁর মক্কেল সরকারি কলেজে সুযোগ পেতেন বলেও আদালতে দাবি করেন বিশ্বরূপ।
কলকাতা মেডিক্যাল, এনআরএস, আরজি কর এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ-সহ কয়েকটি কলেজে সংরক্ষণের নিয়ম না মেনে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে বলে অনেক দিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল। সেই বিষয়টি নিয়ে সোমবার এই মামলায় ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশনের অধ্যাপক দেবাশিস ভট্টাচার্যকে তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতে তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরে সব মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, সিন্হা, ভৌমিক, মণ্ডল পদবিধারীরা কী ভাবে তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন? এ নিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে। তিনি জানান, আগামী দিনে যদি অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়, তবে ওই ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি বাতিল করা হবে। শুধু তাই নয়, দেশের আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করা হবে।