ফাইল চিত্র।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গ্রেফতারি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগের রেশ এ বার পৌঁছল কলকাতা হাইকোর্টে। এই দুই ঘটনায় মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার । মামলা করার অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী আদিত্য মণ্ডল। ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার, এই অভিযোগে মামলা করার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই আইনজীবী।
বিজেপির নিলম্বিত (সাসপেন্ড) জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার আপত্তিকর মন্তব্য ঘিরে অশান্তির আগুন জ্বলেছে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায়। হাওড়ার ওই সব এলাকায় যেতে চেয়ে শনিবার নিউ টাউনের বাড়ি থেকে বেরোতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কিও বাধে। শেষমেশ জোর করেই গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন সুকান্ত। এর পর এজেসি বোস উড়ালপুল থেকে বিজেপি নেতার গাড়ি নামতেই আটকে দেয় পুলিশ। তার পর হেঁটেই দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরে এগোতে থাকেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বিদ্যাসাগর সেতুতে টোলপ্লাজার কাছে শেষমেশ তাঁকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহান্তে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি।
সুকান্তকে ঘিরে শনিবার চাপানউতর-পর্বের পরের দিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে টানাপড়েন শুরু হয়। কাঁথি থেকে বেরিয়ে হাওড়ায় অশান্ত এলাকায় যেতে পারেন, এই আশঙ্কায় রবিবার তমলুকে শুভেন্দুকে আটকে দেয় পুলিশ। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে নন্দীগ্রামের বিধায়কের সঙ্গে পুলিশের বাদানুবাদ চলে। শেষে বিকেল সওয়া তিনটে নাগাদ তাঁর পথ ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে হাওড়া নয়, পুলিশ জানিয়ে দেয়, কোলাঘাট হয়ে কলকাতায় যেতে পারবেন শুভেন্দু। এর পরে কলকাতায় এসে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব তাঁকে ‘বেআইনি ভাবে’ হাওড়া যাওয়ায় বাধা দিয়েছেন বলে একটি চিঠিও পাঠান।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ