প্রতীকী ছবি।
কর্মীদের বকেয়া ডিএ না দেওয়ায় সংস্থার কর্তাদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ সংস্থার তিন কর্তার বিরুদ্ধে এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
রাজ্যের ওই দুই বিদ্যুৎ সংস্থার নাম ডব্লুবিএসইটিসিএল এবং ডব্লুবিএসিডিসিএল। সংস্থা দু’টির কর্তাদের বিরুদ্ধে সংস্থার কর্মীদের অভিযোগ ছিল, আদালতের তরফে বার বার বকেয়া মহার্ঘভাতা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানা হয়নি। ২০১৯ সালে বকেয়া ডিএ-র সামান্য টাকা ছাড়া আর কোনও অর্থ দেওয়া হয়নি কর্মীদের। আদালত শুক্রবার কর্মীদের সেই অভিযোগের উল্লেখ করে ভর্ৎসনা করেছে বিদ্যুৎ সংস্থার কর্তাদের। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, ‘‘কর্মীদের যে অর্থ দিয়েছেন, তাতে বাদাম খাওয়ার টাকাও হয় না। টাকার জন্য কর্মীদের এ ভাবে কাঁদতে দেখে অবাক লাগছে।’’ বিচারপতি মান্থা এই দুই সংস্থার চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের জেনারেল ম্যানেজারের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি বলেছেন, কর্মীদের বকেয়া ডিএ যতদিন না মেটানো হচ্ছে ততদিন বেতন বন্ধ থাকবে কর্তাদের। ১৫ জুলাই পর্যন্ত তিন বিদ্যুৎকর্তাকে এই নির্দেশ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
দুই বিদ্যুৎ সংস্থার বকেয়া মহার্ঘভাতার পাঁচ ভাগের এক ভাগ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ বছর কয়েক আগেই দিয়েছিল হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ মতো ২০১৯ সালে সংস্থাটির তরফে মহার্ঘভাতার প্রথম কিস্তি দেওয়া হয়েছিল কর্মীদের। কিন্তু তার পর থেকে বকেয়া মহার্ঘভাতার আর কোনও টাকা দেওয়া হয়নি বলে আদালতকে জানিয়েছিলেন সংস্থাদু’টির কর্মীরা। উল্লেখ্য বিদ্যুতের এই সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থা দু’টি পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। তবে সরকারি বেতন পরিকাঠামো এবং মহার্ঘভাতার সুবিধা এই সংস্থার কর্মীরা সরকারি কর্মচারীদের মতোই পেয়ে থাকেন। সেটাই নিয়ম। দুই বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীরা অভিযোগ করেছিলেন, টানা তিন বছর তাঁদের মহার্ঘভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবার মামলাটির শুনানিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, ‘‘কর্মীরা মানুষ। তাদের ছাড়া সংস্থা নয়। ঠিক মত ব্যবহার করুন।"