বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যে ১,৭১৩ শূন্যপদে নিয়োগে সবুজসঙ্কেত দিল। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রাজ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী (ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভলপমেন্ট স্কিম) নিয়োগে কাটল জট। প্রায় ২০ বছর ধরে ঝুলেছিল বিষয়টি। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যে ১,৭১৩ শূন্যপদে নিয়োগে সবুজসঙ্কেত দিল। বেঞ্চের নির্দেশ, ৫০:৫০ অনুপাতে রাজ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ হবে।
ছ’বছরের কম বয়সি শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের দেখভাল করেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। রাজ্যে এই পদে দীর্ঘ দিন ধরে নিয়োগ হয়নি। বিচারপতি চক্রবর্তীর বেঞ্চের নির্দেশ, ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়োগ করতে হবে সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। বাকি ৫০ শতাংশ নিয়োগ হবে অভিজ্ঞতার নিরিখে। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা কাজ করছেন, তাঁদের ওই বাকি ৫০ শতাংশ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।
এর আগে হাই কোর্টে অঙ্গনওয়াড়ির সুপারভাইজ়ার নিয়োগের জটও কেটেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনেই অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজ়ার নিয়োগ করতে হবে রাজ্যকে। শুক্রবার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রেখেই জানিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ নিয়ে আগেই কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২৩ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন, ৫০ শতাংশ শূন্যপদে পদোন্নতির ভিত্তিতেই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মধ্যে থেকেই নিতে হবে। অভিযোগ, সেই নির্দেশ মানেনি রাজ্য সরকার। মামলাকারীদের অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা পদোন্নতির ভিত্তিতে সুপারভাইজ়ার পদের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার পর রাজ্য সরকার ১১৫২ জনের একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করে। কিন্তু পরে তাঁদের প্যানেল প্রকাশ না করেই সরাসরি নিয়োগপ্রক্রিয়া চালু রাখে রাজ্য সরকার। মামলাকারীরা প্রথমে বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে তা বিচারপতি চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে পৌঁছয়। শুক্রবার সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগে বাধা রইল না।