নিখোঁজ ব্যক্তিকে ফের খুঁজে বের করতে পুলিশকে নির্দেশ আদালতের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ছাগল চুরি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। তার জেরে খুনের অভিযোগ। আর সেই ঘটনা গড়াল কলকাতা হাই কোর্ট অবধি। উচ্চ আদালত জানিয়েছে, আরও গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে হবে রাজ্যকে। পাশাপাশি ফরেন্সিক দলকেও আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ।
২০২১ সালের শুরুর দিকে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত মেটেগ্রামের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা ফেচেক এবং তাঁর স্বামী রাতি টুডুর একটি ছাগল চুরি যায়। এই নিয়ে সদাইপুর থানার অন্তর্গত শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা বরকা টুডুর বচসা বাধে। ফেচেকের অভিযোগ ছিল যে, তাঁর ছাগল বরকাই চুরি করেছে। রাতির অভিযোগ, এর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য দূর করে উল্লাস করার জন্য ফেচেককে ডেকে নিয়ে যান বরকা এবং বরকার গ্রামেরই বাসিন্দা রাজু সরেন ও সাইবা সরেন। তার পর থেকেই নিখোঁজ হন ফেচেক। বেশ কিছু দিন বাড়ি না ফেরার পর রাতি দুবরাজপুর থানায় স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানালে পুলিশ একটি মিসিং ডায়েরি দায়ের করে।
অভিযুক্তদের বারবার স্বামীর বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের কাছ থেকেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জবাব পান বলেও দাবি করেন রাতি।
এর কিছু দিন পর, পার্শ্ববর্তী চিনপাই জঙ্গলে একটি নরকঙ্কাল উদ্ধার হয়। কঙ্কালের গায়ে লেগে থাকা লুঙ্গির ছেঁড়া টুকরো দেখে রাতি দাবি করেন, এই কঙ্কাল তাঁর স্বামী ফেচেকের এবং স্বামীকে খুন করা হয়েছে।
পাশাপাশি, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বরকার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগও আনেন রাতি।
তবে এই কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষা করা হলে তা এক জন ২০-২২ বছর বয়সি মহিলার কঙ্কাল বলে জানায় তদন্তকারী দল। সেই তথ্য মঙ্গলবার আদালতের সামনে তুলে ধরলে রাজ্যকে বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। আদালত দু’টি নির্দেশ দিয়েছে। প্রথমত, নিখোঁজ ব্যক্তিকে ফের খুঁজবে পুলিশ। দ্বিতীয়ত, কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে।