Krishnanagar Municipality

নিয়ম ভেঙে পাইয়ে দেওয়া পুরসভার ৪০ টেন্ডার বাতিল হাই কোর্টে, ভুল শুধরে নিতে নির্দেশ বিচারপতির

কৃষ্ণনগর পুরসভার দেওয়া ৪০টি টেন্ডার বিলি করার ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি বলে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। বুধবার মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:২২
Share:

বুধবার মামলাটি শুনানি ছিল হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। ফাইল চিত্র

বিধি ভেঙে পুরসভার বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যক্তিকে— এই অভিযোগে কৃষ্ণনগর পুরসভার ৪০টি টেন্ডার বাতিল করল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে পুরসভাকে সময় বেঁধে দিয়ে আদালত বলল, ৭ দিনের মধ্যে ভুল শোধরাতে হবে।

Advertisement

কৃষ্ণনগর পুরসভার দেওয়া ৪০টি টেন্ডার বিলি করার ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি বলে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলা করেছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। অভিযোগ ছিল, কোন টেন্ডার না ডেকেই ২০২২ সালে কৃষ্ণনগর পুরসভার অন্তর্গত ৪০টি জায়গার সৌন্দর্যায়নের বরাত দেওয়া হয় সাধনকুমার সাহা নামে এক ব্যক্তিকে। শুধু তা-ই নয়, ওই ৪০টি জায়গায় বিজ্ঞাপন করার স্বত্বও দেওয়া হয় সাধনকে। যদিও পুরসভার জায়গা ব্যবহার করার বিনিময়ে কোনও টাকা চাওয়া হয়নি সাধনের কাছে। বরং বিনামূল্যেই ১০ বছর ওই ৪০টি জায়গায় বিজ্ঞাপনের ঢালাও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।

মামলাকারী আদালতকে জানান, বিনামূল্যে পুরসভার এলাকা ব্যবহারের ওই স্বত্ব দেওয়ায় প্রতি বছর ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতিস্বীকার করতে হচ্ছিল কৃষ্ণনগর পুরসভাকে। এ ব্যাপারেই আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।

Advertisement

বুধবার হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে সাধনের সংস্থাকে বিজ্ঞাপন, ব্যানার, হোর্ডিং খুলে দিতে হবে। পুরসভার দেওয়া ওই ৪০টি টেন্ডার বাতিল করে আদালত জানায়, নতুন করে ই-টেন্ডার ডেকে কাজের বরাত দিতে হবে পুরসভাকে। ৭ দিনের মধ্যে যদি বেআইনি ভাবে বরাত পাওয়া সংস্থা বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং ব্যানার না খোলা হয়, তবে সেই কাজও পুরসভাকেই করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement