প্রতীকী ছবি।
বিজ্ঞানের অগ্রগতি হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়াতেও। এই বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্রিয়ার মধ্যে অগ্রগণ্য ডিএনএ পরীক্ষা। কিন্তু কলকাতার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে সেই ব্যবস্থা নেই। কলকাতার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি যাতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পৃথক একটি শাখা গড়ে সেই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
সম্প্রতি রেবেকা বেগম নামে এক মহিলার দায়ের করা একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই পরিকাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন। কারণ, ইদানীং বিভিন্ন অপরাধের তদন্তে এই পরীক্ষা প্রয়োজন হচ্ছে। এ বিষয়ে শীতকালীন অবকাশ শেষে আদালত ফের খুললে দু’সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে রিপোর্ট জমা দিতেও বলেছেন বিচারপতিরা।
সম্প্রতি আরও একটি মামলায় এই দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চেই ডিএনএ পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিখোঁজ ব্যক্তি হোক বা শিশু পাচার বা বেওয়ারিশ দেহের শনাক্তকরণেও ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। উত্তরাধিকার সংক্রান্ত মামলাতেও ডিএনএ পরীক্ষার কথা বলে কোর্ট। শহরে সেই পরিকাঠামো না-থাকার ফলে নমুনা চণ্ডীগড় বা হায়দরাবাদে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রিপোর্ট আসতেও দেরি হয়।
কলকাতায় কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির পরিকাঠামো এবং কর্মী সংখ্যার ঘাটতি নিয়ে এর আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল হাইকোর্ট। কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর রিপোর্ট দিয়ে আদালতকে জানান, সম্প্রতি ল্যাবরেটরির বেশির ভাগ শূন্য পদে নিয়োগ হয়েছে। কিছু চুক্তিভিত্তিক কর্মীও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এই নিয়োগ থেকে মনে হয় না যে পর্যাপ্ত পদ রয়েছে। বরং নতুন পদ তৈরি করার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির শাখা খোলা প্রয়োজন বলেও আদালত মনে করে।