কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পরে যে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (আইসিসি) গঠন করা হয়েছিল, সেটি বৈধ নয় বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে নতুন করে অভ্যন্তরীণ কমিটি তৈরি করতে পারে বলেও জানিয়েছে আদালত। আদালতের এই রায়ের পরে অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, ‘‘এই রায়ের ফলে ওই কমিটি আমার বিরুদ্ধে যা যা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল, তা সব প্রত্যাহার করতে হবে। আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে ফেরাতে হবে।’’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, হাই কোর্ট নিয়ম মেনে নতুন কমিটি তৈরি করতে বলেছে। সেই অনুযায়ী নতুন কমিটি গঠন করে তদন্ত হবে। কাজে যোগ দেওয়ার কথা আদালত কিছু বলেনি। তা ছাড়া যিনি এই যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন তিনি তাঁর অভিযোগ এখনও প্রত্যাহার করেননি।
বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মহিলা শিক্ষাকর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল সেখানকারই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটিতে পাঠিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, নির্দিষ্ট বিধি মেনেই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইসিসি তদন্ত করছে। অভিযোগ, ওই শিক্ষক নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে আইসিসি-র প্রশ্নের উত্তর দেননি।
হাই কোর্টের রায়ের পরে রবিবার ওই শিক্ষক বলেন, ‘‘আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী কমিটি তৈরি করুন। নিরপেক্ষ তদন্ত করুন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা করেননি। এমনকি আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ দেওয়া হয়নি।’’ শিক্ষকের অভিযোগ, কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তখনই কমিটির বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী কোনও প্রফেসর র্যাঙ্কের কাউকে কমিটির প্রিসাইডিং অফিসার করতে হয়। কিন্তু তা করা হয়নি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করা হচ্ছে। আমাকে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছিল।’’