—ফাইল চিত্র।
চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োগ করতে নিষেধ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। তার পরেও কেন চুক্তিভিত্তিক কলেজ শিক্ষক এবং পলিটেকনিক শিক্ষককে প্রিসাইডিং এবং পোলিং অফিসারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। শুক্রবার তাঁর নির্দেশ, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও কেন তাঁদের প্রশিক্ষণে ডাকা হয়েছে তা ওই তিন জন মামলাকারীকে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকেরা জানাবেন। ওই ব্যাখ্যা না-পাওয়া পর্যন্ত মামলাকারীরা ভোটের প্রশিক্ষণ বা কাজে যোগ দেবেন না।
এ দিন আদালতে ওই তিন জন মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর মক্কেলদের দু’জন কলেজের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক এবং তৃতীয় জন একটি পলিটেকনিক কলেজের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক। তাঁদের রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের প্রিসাইডিং এবং পোলিং অফিসার হওয়ার জন্য তলব করেছে। দু’জনের এক দফা প্রশিক্ষণও হয়েছে। দ্বিতীয় দফার প্রশিক্ষণ বাকি। কমিশনের কৌঁসুলি জানান, এ ব্যাপারে তাঁকে মক্কেলের কাছ থেকে নির্দিষ্ট নির্দেশ নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের গোড়া থেকেই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য সরকার এবং কমিশন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলের আইনজীবীরা। সেই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, একান্ত কর্মীসঙ্কট হলে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের কাজে লাগালেও তাঁদের ফোর্থ পোলিং অফিসারের উপরে কোনও কাজে নিযুক্ত করা যাবে না। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের কাজে লাগানো যাবে না, সে কথাও জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।