কেন্দ্রীয় জলশক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত। ছবি সংগৃহীত।
এক-দেড় মাসের মধ্যে নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করা হবে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত।
রবিবার দলীয় কর্মসূচি উপলক্ষে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় এসেছিলেন তিনি। সেখানে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বলেন, ‘‘নাগরিক আইন তৈরি হয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর হয়েছে। এখন রুল ফ্রেম করার কাজ চলছে। এক-দেড় মাসের মধ্যে আইন প্রণয়ন করা হবে।’’ এ দিন এক মতুয়া ভক্তের বাড়িতে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সারেন মন্ত্রী।
ঘটনাচক্রে এ দিনই নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) অনুযায়ী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হবে বলে দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রেড রোডে বিআর অম্বেডকরের প্রয়াণ দিবস পালনের সভায় তিনি বলেন, ‘‘ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের শিকার হয়ে যাঁরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে এ দেশে শরণার্থী হয়ে এসেছেন, তাঁদের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকে নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হবে।’’
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল জিতলে থাকতে পারব না: মুকুল ॥ ২০১১ মনে করুন: তাপস
আরও পড়ুন: ‘সুদীপ্ত সেনের চিঠি’ নিয়ে ধন্দে সিবিআই
নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে রেড রোডের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিঁধেছেন কৈলাস। তিনি বলেন, ‘‘আপনি (মমতা) মোদীজির বিরোধিতা করছেন। কিন্তু আপনি শরণার্থীদের বিরোধিতা করছেন কেন?’’ এই সূত্রেই তাঁর বক্তব্য, ‘‘মোদীজির পাঠানো বিনামূল্যের চাল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিলি করেছেন মমতাজি। কিন্তু ধর্ম ও পরিবার রক্ষার্থে বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করছেন তিনি।’’
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নাগরিকত্ব আইনের নামে নতুন করে উদ্বাস্তু তৈরির ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। অসমের মতো এখানে হাজার হাজার বাঙালির ভিটেনশন ক্যাম্প চাইনা। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোকসভা ভোটে জিতেছিল। মতুয়ারা তা বুঝতে পারছে। আবার কুৎসা করে বিধানসভা ভোট জিততে চাইছে। এবার মানুষ জবাব দেবে।