Bypoll

Bypolls: উৎসবের মরসুমে চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের, স্বাগত জানাল তৃণমূল

নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ ও গোসাবা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে আগামী ৩০ অক্টোবর। ভোট-গণনা ২ নভেম্বর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভবানীপুর-সহ তিন কেন্দ্রে ভোট কাল, বৃহস্পতিবার। তার ঠিক এক মাসের মাথায় উপনির্বাচন হবে রাজ্যের আরও চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে। নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ ও গোসাবা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে আগামী ৩০ অক্টোবর। ভোট-গণনা ২ নভেম্বর। দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর মধ্যবর্তী সময়ে উৎসবের মরসুমে এমন ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। পুজোর মধ্যে ভোটের প্রচার কী ভাবে চলবে, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাদের তরফে। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য উপনির্বাচন ঘোষণাকে স্বাগতই জানিয়েছে।

Advertisement

কমিশন উপনির্বাচন ঘোষণা করার পরেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির প্রশাসনকে নিয়ে এ দিনই বৈঠক হয়েছে সিইও দফতরে। সূত্রের দাবি, কোভিড বিধি এবং আইনশৃঙ্খলা ছিল বৈঠকের অন্যতম বিষয়। কমিশনের তরফে জেলা আধিকারিকদের বলা হয়েছে, কেন্দ্র এবং রাজ্যের কোভিড-বিধি মেনেই প্রস্তুতি রাখতে হবে। প্রচার এবং নির্বাচনী ক্ষেত্রে বিধি লঙ্ঘন করা চলবে না। কারণ, অতীতে এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েই রেখেছে আদালত। কমিশন এবং দুই সরকার যে বিধি স্থির করে দিয়েছে, তার মান্যতায় দায়বদ্ধ থাকতে হবে জেলা-কর্তাদের। আগের ভোটগুলির মতো প্রতি সপ্তাহের আইনশৃঙ্খলা রিপোর্টও পাঠাতে হবে কমিশনকে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবানীপুর-সহ অন্যত্র দ্রুত উপনির্বাচন করানোর দাবি নিয়ে কমিশনে একাধিক বার দরবার করেছিল তৃণমূল। বাকি চার কেন্দ্রের ভোট ঘোষণার পরে তৃণমূলের নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘কোনও কেন্দ্রই প্রতিনিধিহীন থাকা উচিত নয়। আমরা সব কেন্দ্রেই নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য কমিশনে বলেছি। ভালই হয়েছে।’’

Advertisement

বিরোধীদের অবশ্য প্রশ্ন, উৎসবের মধ্যে ভোট না চাপিয়ে দিয়ে কমিশন ভবানীপুরের সঙ্গেই সব কেন্দ্রের বকেয়া ভোট সেরে ফেলতে পারত। এই চার কেন্দ্রের জন্য মনোনয়ন ও প্রচার-পর্ব চলবে পুরোদস্তুর উৎসবের মধ্যে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘বাঙালি হিসেবে দুর্গাপুজোর মধ্যে ভোট কি কেউ সমর্থন করবে? কিন্তু কমিশন ভোট ঘোষণা করে দিয়েছে। ময়দান ছেড়ে পালিয়ে তো যাব না! কিন্তু কমিশনকে দায়িত্ব নিতে হবে, আমাদের ঘরছাড়া কর্মী-সমর্থকেরা যেন বাড়ি ফিরে অবাধে প্রচার করতে পারে।’’ উপনির্বাচন এত দিন যখন হয়নি, একেবারে উৎসব পার করে তা করার জন্য কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে এই মর্মে এ দিন চিঠিও দিয়েছে কংগ্রেস। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরও মন্তব্য, ‘‘প্রথমে ভবানীপুর স্পেশ্যাল একটা সিদ্ধান্ত। এখন আবার উৎসবের মধ্যে উপনির্বাচন। ন্যূনতম কাণ্ডজ্ঞান থাকলে কেউ এ রকম করে? কমিশন কি কোনও খোঁজ-খবরই রাখে না?’’

বিরোধীদের অবশ্য প্রশ্ন, উৎসবের মধ্যে ভোট না চাপিয়ে দিয়ে কমিশন ভবানীপুরের সঙ্গেই সব কেন্দ্রের বকেয়া ভোট সেরে ফেলতে পারত। এই চার কেন্দ্রের জন্য মনোনয়ন ও প্রচার-পর্ব চলবে পুরোদস্তুর উৎসবের মধ্যে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘বাঙালি হিসেবে দুর্গাপুজোর মধ্যে ভোট কি কেউ সমর্থন করবে? কিন্তু কমিশন ভোট ঘোষণা করে দিয়েছে। ময়দান ছেড়ে পালিয়ে তো যাব না! কিন্তু কমিশনকে দায়িত্ব নিতে হবে, আমাদের ঘরছাড়া কর্মী-সমর্থকেরা যেন বাড়ি ফিরে অবাধে প্রচার করতে পারে।’’ উপনির্বাচন এত দিন যখন হয়নি, একেবারে উৎসব পার করে তা করার জন্য কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে এই মর্মে এ দিন চিঠিও দিয়েছে কংগ্রেস। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরও মন্তব্য, ‘‘প্রথমে ভবানীপুর স্পেশ্যাল একটা সিদ্ধান্ত। এখন আবার উৎসবের মধ্যে উপনির্বাচন। ন্যূনতম কাণ্ডজ্ঞান থাকলে কেউ এ রকম করে? কমিশন কি কোনও খোঁজ-খবরই রাখে না?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement