প্রতীকী ছবি।
বর্তমান আইন অনুযায়ী পদত্যাগী জনপ্রতিনিধির থেকে উপনির্বাচনের খরচ আদায় করা সম্ভব নয়। ভবানীপুরে উপনির্বাচন সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার জেরে কলকাতা হাই কোর্টের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে নন্দীগ্রামে পরাস্ত হওয়ার পরে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে জায়গা করে দিতে ইস্তফা দিয়েছিলেন ভবানীপুরের তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তারই প্রতিবাদে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। তাতে ভবানীপুরে ভোট স্থগিতের আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছিল, বিধানসভা ভোটে পরাজিত এক জন ব্যক্তির জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে ইস্তফা দিতে হচ্ছে নির্বাচিত এক জনপ্রতিনিধিকে। এই ঘটনা জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের পরিপন্থী।
গত সেপ্টেম্বরে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ ভবানীপুরে উপনির্বাচনে ছাড়পত্র দিলেও স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে প্রশ্ন তুলেছিল, মেয়াদ শেষের আগে সাংবিধানিক সঙ্কট ছাড়া অন্য কোনও কারণে কোনও জনপ্রতিনিধি ইস্তফা দিলে উপনির্বাচনের খরচ কে জোগাবে?
জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, পদত্যাগী জনপ্রতিনিধির থেকে নির্বাচনের খরচ আদায় করা বর্তমান আইনে সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনের তরফেও কার্যত একই সুরে হাই কোর্টকে জানানো হয়েছে, প্রার্থী বা পদত্যাগী জনপ্রতিনিধির থেকে ভোটের খরচ আদায় করার এক্তিয়ার কমিশনের নেই।