আলোচনা: বাংলাদেশ ও হিলির মধ্যে বহির্বাণিজ্যের প্রসারের উদ্দেশ্যে হিলি চেকপোস্ট জিরো পয়েন্টে রফতানিকারকদের বৈঠক। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বহির্বাণিজ্যের আরও প্রসারে সরব হলেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার হিলি চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা বৈঠক করেন। ওই বৈঠক থেকে হিলি চেকপোস্টের সরু রাস্তা দিয়ে ভারত-বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াতের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা, বাংলাদেশের এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন উল রসিদ, সিএনএফ অ্যাসোসিয়েশিনের সভাপতি মহম্মদ আজিজ, সম্পাদক আতাউর রহমান লিটন প্রমুখ।
হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক উদয় বর্মণ জানান, চেকপোস্টের সরু রাস্তা দিয়ে রোজ শতাধিক ট্রাক ও লরি বাংলাদেশে যাতায়াত করে। মালপত্র নামিয়ে একই রাস্তা ধরে খালি ট্রাক এ পারে ফেরত আসায় সেখানে যানজটের সৃষ্টি হয়। তার ফলে, সুযোগ থাকলেও একদিনে বেশি ট্রাক যাতায়াত করতে পারে না। সেই কারণে, দু’দেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা মার খাচ্ছে বলে তিনি জানান। ওই বৈঠক থেকে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা হিলি চেকপোস্টের পাশে বাংলাদেশের রেল ক্রসিংয়ের ধারে, পুরনো কংক্রিটের দেওয়াল সরিয়ে রাস্তা চওড়া করার বিষয়ে সহমত হন। এ বিষয়ে তাঁরা দু’দেশের সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হিলি এক্সপোর্ট অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজ একশোর বেশি পণ্যবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে যায়। প্রতি বছর হিলি দিয়ে বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে সরকারের ৭০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হচ্ছে। কিন্তু হিলিতে বহির্বাণিজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নে সেভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে।
হিলি আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন পণ্য ও পাথর পাঠানো হয়। বাংলাদেশ থেকে আসে মূলত অশোধিত ভোজ্য তেল এবং চিটেগুড়। বাংলাদেশে বিভিন্ন পণ্য নামানোর পর মজুরির নির্দিষ্ট করা, হিলি দিয়ে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা পাট বীজ রফতানি ফের চালুর বিষয়েও এ দিন বৈঠকে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের এক্সপোর্টার্সদের তরফে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে বৈঠকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।