CNG-run buses

CNG Bus: ইঞ্জিন বদল নিয়ে সংশয়ে বাস মালিকরা, আশ্বাস দিচ্ছেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম

ক্রমবর্ধমান ডিজেলের দামবৃদ্ধির কারণে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে রাজ্য পরিবহণ দফতর সিএনজি-র ব্যবহার শুরু করতে চাইছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২১ ১৮:৪৫
Share:

ইঞ্জিন বদল নিয়ে বাস মালিকদের আশ্বাস দিচ্ছেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।

বাস চালাতে ডিজেল চালিত ইঞ্জিনের বদলে লাগাতে হবে ‘কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস’ (সিএনজি) ইঞ্জিন। কিন্তু যথাযথ পরিকাঠামো না থাকায় ঘোর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বেসরকারি বাস মালিকরা। ক্রমবর্ধমান ডিজেলের দামবৃদ্ধির কারণে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে রাজ্য পরিবহণ দফতর সিএনজি-র ব্যবহার শুরু করতে চাইছে। আগামী ১৭ নভেম্বর এ বিষয়ে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন বাস মালিকরা। ইতিমধ্যে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে বেশ কয়েক দফায় আলোচনায় বসে সিএনজি ইঞ্জিন লাগানোর বিষয়ে ইঙ্গিত পেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু ইঞ্জিন বদল করার খরচ থেকে শুরু করে কোথায় হবে সিএনজি-র রিফিলিং, তা নিয়ে বাস মালিকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বেড়েছে।

Advertisement

পরিবহণ দফতরের তরফে বাস মালিকদের দু’টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রথমটি ‘ডুয়েল ফুয়েল ইঞ্জিন’ ও দ্বিতীয়টি ‘ডেডিকেটে‌ড সিএনজি ইঞ্জিন’। ‘ডুয়েল ফুয়েল ইঞ্জিন’-এর ক্ষেত্রে বাস ডিজেল ও সিএনজি উভয় দিয়েই চালানো যাবে। আর ‘ডেডিকেটেড সিএনজি ইঞ্জিন’ দিয়ে শুধুমাত্র সিএনজি চালিত বাসই চালানো যাবে। বেশির ভাগ বাস মালিকই ‘ডেডিকেটেড সিএনজি ইঞ্জিন’-এর পক্ষে। কারণ এই পদ্ধতিতে কম খরচে বেশি দূরত্বে বাস চালানো যায়। বাস মালিকরা আর ডিজেলের ভরসায় বাস চালাতে নারাজ। একেকটি বাসে সিএনজি-র ইঞ্জিন লাগাতে খরচ হবে দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। বাস মালিকরা চাইছেন, যে হেতু অতিমারির কারণে তাঁদের আর্থিক অবস্থা বেহাল হয়েছে, তাই নতুন সিএনজি ইঞ্জিন লাগাতে ভর্তুকি দিক রাজ্য সরকার। তা ছাড়া, সিএনজি দিয়ে বাস চালাতে গেলে কলকাতায় কম পক্ষে ৩০০টি ফুয়েল রিফিলিং সেন্টার গড়তে হবে। বেঙ্গল গ্যাসের সঙ্গে পরিবহণ দফতরের মউ স্বাক্ষরের পর শহরে ১২০টি ফুয়েল রিফিলিং সেন্টারও তৈরি হবে বলে জেনেছেন বাস মালিকরা। কিন্তু পর্যাপ্ত ফুয়েল রিফিলিং সেন্টার তৈরি না হলে বাস পরিষেবা দিতে পারবেন না তাঁরা।

মিনি বাস অপারেটার্সের পক্ষে স্বপন ঘোষ বলেন, ‘‘ইঞ্জিন বদল করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হবে, তেমন পরিস্থিতি বাস মালিকদের নেই। যে সব বাস আর বছর দুয়েক বা তিনেকের মধ্যে বাতিল হয়ে যাবে, সেগুলিতে বিনিয়োগ করেই বা কী হবে? তা আমাদের কাছে এ সবের উত্তর স্পষ্ট করতে পারেনি পরিবহণ দফতর।’’ সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের পক্ষে টিটো সাহা বলেন, ‘‘সরকারের নির্দেশ মানতে আমরা তৈরি। কিন্তু পরিবহণ দফতরকেও বাস মালিকদের কথা ভাবতে হবে। সিএনজি চালু করতে আমরাও চাই। তাই তো দাবিদাওয়া পরিবহণ দফতরকে জানিয়েছি। বৈঠকে সামনা-সামনি হয়েই বাকি কথা বলব।’’

Advertisement

বাস মালিকদের এমন সংশয়ের জবাব হিসেবে নতুন পরিবহণ নীতির কথা বলেছেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, ‘‘বাসগুলি সিএনজি-তে রূপান্তরিত করা হবে যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরির পরেই। পুরনো বাসগুলিকে যেমন সিএনজি-তে বদলানো হবে, তেমনই তৈরি করা হবে গ্যাস স্টেশন। পুরো বিষয় নিয়ে আমাদের প্ল্যানিং রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট নীতি তৈরি হয়েছে। সেই নীতি অনুযায়ী কাজ করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement