ফাইল চিত্র।
বেসরকারি বাসে বেপরোয়া ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। মানা হচ্ছে না কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম। অভিযোগ করার ব্যবস্থাও জানা নেই। এমন অনেক দাবি তুলে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী প্রত্যুষ পাটোয়ারি। সেই মামলাতেই রাজ্যের কাছে বাস ভাড়া নিয়ে রিপোর্ট চাইল হাই কোর্ট। দু’সপ্তাহের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। জ্বালানির দাম কমলেও ভাড়া কমানো হয়নি এমন দাবিও উঠে এসেছে। প্রত্যুষের কথায়, ‘‘এখানে সরকারের নীরব ভূমিকা উঠে আসছে। কারণ, সাধারণ মানুষ ভাড়া কমানোর পক্ষে। আর বাস মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে। এই অবস্থায় পরিবহণ দফতরের অবস্থান স্পষ্ট নয়।’’
অন্য দিকে, পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, ভাড়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম নেই, এটা ঠিক নয়। এলাকা ভিত্তিক ভাড়ার তারতম্য রয়েছে। কোথাও কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে, তা খতিয়ে দেখা হবে।
মূলত তিনটি বিষয় জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট এক, ভাড়ার তালিকা সব বাসে লাগানো রয়েছে কি? দুই, সরকারের বেঁধে দেওয়া বা নির্ধারিত ভাড়া কি নিচ্ছে বেসরকারি বাস? এবং তিন, যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এমনকি কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না, এ কথা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে আগামী ৮ আগস্ট পরবর্তী শুনানি।করোনা সংক্রমণের দাপট কিছুটা কমার পর থেকে রাজ্যের বেসরকারি বাসগুলির জন্য কোনও ভাড়া নীতি নেই। এই অভিযোগ তুলে আইনজীবী প্রত্যুষ পাটোয়ারির দাবি, ২০১৮ সালের পর থেকে নতুন ভাড়ার তালিকা তৈরি হয়নি। ফলে ওই নিয়ম মেনেই ভাড়া নেওয়ার কথা। কিন্তু এখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইচ্ছামতো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।