—ফাইল চিত্র।
ভাতারে মহিলা চিকিৎসককে হুমকি, হেনস্থার অভিযোগে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল বর্ধমান আদালত। সেই সঙ্গে তাঁকে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি থেকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে বলে জানালেন জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ।
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার হন সুশান্ত রায় নামে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ, ‘আরজি করে কী হয়েছে জানেন তো?’— এই বলে তাঁকে হুমকি দিয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ার। শনিবার রাত সওয়া ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। এর পরেই মহিলা চিকিৎসক অন্যান্য সিভিক ভলান্টিয়ারকে ডাকেন এবং থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান। এর পরেই গ্রেফতার হন সুশান্ত।
রবিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁকে সাত দিনের জন্য নিজেদের হেফাজেত রাখার আবেদন করা হয়। আদালত পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে। ধৃতের বাবা কালাচাঁদ রায় বলেন, ‘‘আমার ছেলে ২০১৩ সাল থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজ করছে। সে দিন হাসপাতালে একটি ওষুধ দেওয়া নিয়ে তর্কাতর্কি হয়েছিল। একটি ওষুধ হাসপাতাল থেকে না দিয়ে বাইরে থেকে কিনতে বলা হয়েছিল। তখন আমার ছেলে প্রতিবাদ করায় তর্কাতর্কি হয়েছিল।’’