সুরটা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ব্রিগেড সমাবেশ থেকেই। সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে তাকেই আরও ধারালো করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বিধানসভা ভোটের অদূরে দাঁড়িয়ে তাঁর সাফ কথা, শিল্পের জন্য এগোতে হবেই। অতীতে সিঙ্গুর-সহ রাজ্যে শিল্পায়নের যে লক্ষ্য বামফ্রন্ট নিয়েছিল, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে আবার সেই পথেই হাঁটা হবে।
সিঙ্গুর থেকে শালবনি ১৯২ কিলোমিটার পদযাত্রার সূচনা হল শনিবার। রাজ্যে শিল্পের দাবি এই পদযাত্রার লক্ষ্য। সেই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করতে গিয়ে ভিড়ে ঠাসা সমাবেশে বুদ্ধবাবু বলেন, ‘‘পাঁচ বছরে রাজ্যে একটা শিল্পও হয়নি। নতুন শিল্প আসেনি। পুরনো কারখানাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ অবস্থা চলতে পারে না। কৃষি আমাদের ভিত্তি। শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। এই কথাই আমরা আবার বলব। কারণ এটাই পথ।’’ সেই সঙ্গেই মমতার সরকারকে পরাস্ত করার ডাক দিয়ে বুদ্ধবাবুর তীব্র আক্রমণ, ‘‘ওদের জানিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে, তোমাদের এই মা-মাটি-মানুষের যাত্রাপালা আর চলবে না। এই যাত্রাপালা বন্ধ করতে হবে।’’
আরও পড়ুন:
ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইতে সিঙ্গুর থেকে কংগ্রেসকে জোটের ডাক বুদ্ধের
সিঙ্গুর: সেই ছোট্ট পায়েলের জীবনে ছন্দটাই ফিরল না
বাম গণসংগঠনগুলি যৌথভাবে বিপিএমও নামে যে মঞ্চ তৈরি করেছে, সেই মঞ্চের আহ্বায়ক শ্যামল চক্রবর্তী এ দিন বলেছেন, ‘‘নির্বাচনে জিতে বামপন্থীরা ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে ফের সমাবেশ হবে। সেই সমাবেশ হবে সিঙ্গুরে ফের কারখানা চালুর ঘোষণা করার জন্য।’’ শিল্পেল পথে এগনোর ডাক দিয়েছে মনোজ ভট্টাচার্য, নরেন চট্টোপাধ্যায়, অশোক ঘোষের মতো শরিক নেতারাও।
শিল্পায়নের মন্ত্র জোর গলায় উচ্চারণের পাশাপাশি বিধানসভা ভোটের কৌশল হিসেবে জোটের ডাকও এ দিন দিয়েছেন বুদ্ধবাবু। সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও এ দিন সরাসরি জোটবার্তা দিয়েছেন। কংগ্রেসের উদ্দেশে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এ দিন বলেছেন, ‘‘এই সরকারকে হারাতে সব মানুষকে সঙ্গে চাই। অন্য বামপন্থীদের বলছি আসুন। কংগ্রেসকেও বলছি। এ লড়াইতে আপনারা কোন দিকে? ঠিক করুন। আমরা সব মানুষকে পাশে চাই।
বিমান বসু, মদন ঘোষদের নেতৃত্বে প্রথম দিনে পদযাত্রা কামারকুণ্ডুর দিকে গিয়েছে।