ফাইল চিত্র।
উৎসশ্রী পোর্টালেরে মাধ্যমে বদলির আবেদন করার এক মাসের মধ্যে সরকার পোষিত এবং সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের বদলি হবে। এ ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় বদলির আবেদন করার পরও স্কুল থেকে সেই শিক্ষককে ছাড়া হচ্ছে না বা এনওসি দেওয়া হচ্ছে না বা ছাড়তে দেরি হচ্ছে তা হলে শিক্ষা দফতর নিজে হস্তক্ষেপ করে আবেদনটি খতিয়ে দেখে সেই সমস্যার সমাধান করবে। শনিবার বিকাশ ভবনে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের বদলির অনলাইন ট্রান্সফার পোর্টাল উৎসশ্রী উদ্বোধন করে এই কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
ব্রাত্যবাবু জানান, পুরো প্রক্রিয়া অনলাইন হবে। আজ, রবিবার রাত ১২টা থেকে এই পোর্টাল খুলবে। মিউচুয়াল ট্রান্সফার বা আপস বদলি এবং জেনারেল ট্রান্সফার পদ্ধতিতে বদলি করা হবে। বদলির ক্ষেত্রে শারীরিক অসুস্থতা বা অন্যান্য গুরুতর সমস্যাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। দফতরের কোনও স্তরেই আবেদন ২৪ ঘণ্টার বেশি আটকে থাকবে না। আবেদন করার পরে সাহায্য চাইলে ফোন (১৮০০১০২৩১৫৪) বা হোয়াটসঅ্যাপে (৮৯০২৬০২৫১৯) সাহায্য চাওয়া যেতে পারে।
মন্ত্রী জানান, আবেদনের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্থায়ী চাকরি হতে হবে এবং ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে বর্তমান কর্মস্থলের ২৫ কিলোমিটার মধ্যে এবং প্রাথমিকের ক্ষেত্রে নিজের সার্কলের অন্য বিদ্যালয়ে আবেদন করা যাবে না। কোনও বদলির আদেশ অগ্রাহ্য করলে ৭ বছরের মধ্যে পুনরায় আবেদন করা যাবে না।
প্রশ্ন উঠেছে অনেকেই বদলি নিয়ে নিজের শহরে বা প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শহরে চলে আসতে চাইবেন। তা হলে কিছু স্কুলে শিক্ষকের ঘাটতির আশঙ্কা থাকে। মন্ত্রীর দাবি, কোনও বিদ্যালয়ে শিক্ষক কম থাকলে তবেই সেখানে বদলি হবে। তা ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয়েছে। তাই কোনও স্কুলেই শিক্ষকের ঘাটতির সম্ভাবনা নেই।