বিল রুখতে সব সংগঠনকে নামাচ্ছে বামেরা

প্রস্তাবিত বিলের প্রতিবাদে বুধবার মৌলালির রামলীলা ময়দানে রাজ্য কনভেনশন ডেকেছিল ১১৭টি গণসংগঠনের যৌথ মঞ্চ বিপিএমও। শ্রমিক, শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক, সব ধরনের সংগঠন সামিল হয়েছিল ওই কনভেনশনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৩০
Share:

কেন্দ্রীয় সরকারের আমানত বিমা (এফআরডিআই) বিলের বিরোধিতায় সব গণসংগঠনকেই মাঠে নামাচ্ছে বামেরা। রাজ্য জুড়ে পাঁচ কোটি মানুষের সই সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছে তারা। সেই সঙ্গেই ঠিক হয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারির গোড়ায় সংসদে বাজেট অধিবেশন চলাকালীন ব্যাঙ্কগুলির সামনে পাঁচ দিন করে ধর্না-বিক্ষোভ চলবে।

Advertisement

প্রস্তাবিত বিলের প্রতিবাদে বুধবার মৌলালির রামলীলা ময়দানে রাজ্য কনভেনশন ডেকেছিল ১১৭টি গণসংগঠনের যৌথ মঞ্চ বিপিএমও। শ্রমিক, শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক, সব ধরনের সংগঠন সামিল হয়েছিল ওই কনভেনশনে। সেখানেই বিপিএমও-র আহ্বায়ক এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সব ধরনের মানুষকে সঙ্গে না পেলে এই কালা বিল আটকানো যাবে না। তাই সব সংগঠনকে আমরা বলছি, সব মানুষের কাছে যেতে হবে।’’ নরেন্দ্র মোদীর সরকার আম জনতার ক্ষুদ্র সঞ্চয় থেকে পেনশনের টাকা, সব দিকেই কী ভাবে হাত বাড়িয়েছে, সেই বিপদের কথা বলেছেন এ দিন সব বক্তাই। আমানত বিমা বিল আরও সর্বনাশ ডেকে আনবে এবং ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার উপরে মানুষের ভরসাই ধাক্কা খাবে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

তবে এর মধ্যেই সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু কিছুটা আত্মসমালোচনার সুরে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যাতে এই ধরনের জনবিরোধী পদক্ষেপ করতে সাহস না পায়, তেমন দুর্বার প্রতিবাদ আন্দোলন এখনও গড়ে তোলা যায়নি। সিপিএমের মদন ঘোষ, ফরওয়ার্ড ব্লকের হাফিজ আলম সৈরানি, হরিপদ বিশ্বাস, আরএসপি-র অশোক ঘোষ প্রমুখ ছিলেন কনভেনশনে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement