—নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা ফেটে মারা গেল তাঁর ভাগ্নী তথা ৯ বছরের এক নাবালিকা। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন ওই নেতার আত্মীয়স্বজন-সহ নাবালিকা। খড়বিচালির মধ্যে রাখা বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে তা ফেটে যায়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মারা যায় নাবালিকা। এই ঘটনায় ওই তৃণমূল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বসিরহাট জেলার মিনাখাঁ থানার চাঁপালি পঞ্চায়েতের গাইন পাড়ায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ঝুমা খাতুনের। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তৃণমূল নেতা আবুল হোসেন গায়েনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল ভাগ্নী ঝুমাও। সন্ধ্যায় খড়বিচালির মধ্যে বোমাটিকে বল ভেবে খেলতে যায় সে। সঙ্গে সঙ্গে তাতে বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর জখম ওই দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মারা যায় সে।
বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার জবি টমাস বলেন, ‘‘চাঁপালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। তাতে ৯ বছরের এক নাবালিকা জখম হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যায় সে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, হয়তো ওই বাড়িতে কোনও বিস্ফোরক রাখা ছিল।’’
বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বসিরহাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়, এসডিপিও আমিনুল ইসলাম। মিনাখাঁ থানার ওসি সিদ্ধার্থ মণ্ডলের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনীও হাজির হয়। নাবালিকারকে উদ্ধার করে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প়ঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কি কোনও রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে নাকি এতে অন্য কোনও কারণ জড়িত? এই প্রশ্নও উঠছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতার ঘরে বোমা মজুদ রাখা হচ্ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, আবুল হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি, ঘটনাস্থলে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।