নির্মাণ বন্ধের নোটিস দেখাচ্ছেন বোলপুর পুরসভার আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র।
বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় একের পর এক দন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে প্রশাসন ও বোলপুর পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সঙ্ঘাতের সেই তালিকায় নতুন সংযোজন, বিশ্বভারতীয় রেজিস্ট্রারের পুরনো দফতর সংস্কার এবং প্রাচীর নির্মাণের ঘটনা। পুরসভার বাধায় বন্ধ হয়েছে সেই কাজ।
বিশ্বভারতীর দমকল বিভাগের কার্যালয়ের সামনে পুরনো রেজিস্ট্রার দফতর। সেটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। নতুন করে সেই ভবন সংস্কার এবং বাইরের পাঁচিলটি বানানোর কাজ শুরু করেছিল বিশ্বভারতী। শনিবার নোটিস ধরিয়ে সেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বোলপুর পুর কর্তৃপক্ষ।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জানা গিয়েছে যেখানে প্রচীর নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে আছে পিডব্লিউডি-র জমি। শনিবার বোলপুর পুরসভার আধিকারিকেরা গিয়ে প্রাচীর তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন। সেই সঙ্গে সেখানে কর্মরত কর্মীদের হাতে একটি নোটিস ধরিয়ে দেন তাঁরা।
পুরসভার তরফে অমর শেখ বলেন, ‘‘বিশ্বভারতী যে প্রাচীরটি নির্মাণ করছে সেটি ৪ ফুট জমি না ছেড়ে করা হচ্ছে। পিডব্লিউডি-র জমি ঢুকে আছে তার মধ্যে। ফলে প্রাচীরের ধারে যে দোকানগুলি আছে, তাদের সমস্যা হচ্ছে। সাধারণ মানুষেরও সমস্যা হচ্ছে। তাই আমরা কাজ বন্ধের নোটিস ধরিয়েছি।’’
এই ঘটনায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কিছু বলতে চাননি। তবে ওই এলাকায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ক্যামের বসিয়েছেন। ফের যাতে পৌষমেলার মাঠের পাঁচিল ভাঙার মতো ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।