মঙ্গলবার গভীর রাতে দেহটি পাওয়া গিয়েছে আপ মেচেদা লোকালে। —নিজস্ব চিত্র।
লোকাল ট্রেনের কামরায় ট্রাভেল ব্যাগের মধ্যে পাওয়া গেল এক যুবকের ক্ষত-বিক্ষত দেহ। মঙ্গলবার গভীর রাতে দেহটি পাওয়া গিয়েছে আপ মেচেদা লোকালে। এখনও মৃত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ হাওড়া থেকে ৩৮৩১৩ আপ মেচেদা লোকাল ওই স্টেশনে এসে পৌঁছয়। ট্রেনের যাত্রীরা নেমে গেলে রেকটি চলে যায় কার শেডে। রাতেই ট্রেন পরিষ্কার করতে ওই রেকে ওঠেন রেলের সাফাইকর্মীরা। সাফাই করার সময় একটি সিটের নীচে লাল রঙের এক ট্রাভেল ব্যাগ দেখতে পান তাঁরা। সেটি সরাতেই রক্তের ক্ষীণ ধারা চোখে পড়ে তাঁদের। ব্যাগের চেন খুলতেই দেখতে পান, এক যুবকের হাঁটু মোড়া দেহ!
সঙ্গে সঙ্গে সাফাইকর্মীরা খবর দেন রেলপুলিশ (জিআরপি) এবং রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ)-কে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁর দেহ মিলেছে তাঁর বয়স বছর পঁয়ত্রিশ হবে। ওই যুবকের পরনে ছিল সাদা জামা এবং ছাই ছাই রঙের ট্রাউজার্স। খালি পা। যুবকের পকেটে বা ব্যাগের মধ্যে এমন কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি যা দিয়ে তাঁকে শনাক্ত করা যায়। দেহটি তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। তদন্তকারীদের দাবি, যুবকের শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুন করে দেহটি ট্রাভেল ব্যাগে পুরে পাচার করার চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা সমস্ত স্টেশনের সিসি ক্যামের ফুটেজ খতিয়ে দেখছি, কোন স্টেশন থেকে ওই ব্যাগটি তোলা হয়েছে তা জানার জন্য।”
আরও পড়ুন: শান্তির সমাবর্তনেও কটাক্ষ রাজ্যপালের
হঠাৎ তুষারপাত, দেখুন কী ভাবে বরফের চাদরে ঢাকা পড়ল দার্জিলিঙের টংলু থেকে ধোতরে
তবে, তদন্তকারীদের সন্দেহ দেহটি সম্ভবত হাওড়া থেকেই তোলা হয়েছে। কারণ তার পর ভারী ওই ব্যাগ নিয়ে উঠলে যাত্রীদের চোখে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ ব্যাগটি থেকে চুইয়ে রক্ত পড়ছিল। মৃতের পোশাক দেখে তদন্তকারীদের ধারণা, তিনি আর্থিক দিক থেকে বেশ সম্পন্ন। এই সূত্রগুলো কাজে লাগিয়েই যুবককে শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।