—প্রতীকী চিত্র।
অবশেষে শনাক্ত করা গিয়েছে কৃষ্ণনগরে অর্ধনগ্ন ও দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হওয়া তরুণীর দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের লোকেরা এসেই দেহ শনাক্ত করেছেন। তাঁদেরই অভিযোগ, তরুণীর প্রেমিকই তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করে জেরা করা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
বুধবার সকালে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অফিসের অদূরে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়েরাই দেহটি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করে। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, তরুণীর মুখ পুড়ে যাওয়ায় তাতে প্রাথমিক ভাবে বেগ পেতে হয়েছিল পুলিশকে। পরে খোঁজ মেলে। খবর দেওয়া হয় পরিবারকে। এর পরেই তরুণীর দিদিমা, মাসি এবং দাদু থানায় গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন। পরিবারের দাবি, মেয়ের প্রেমিকই তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করেছেন। দিদিমা ও মাসির কাছে থাকতেন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ওই তরুণী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় বিষয়টি তরুণীর মা-বাবাকে জানান তাঁর দিদিমা। মা-বাবা খোঁজখবর করেও ওই তরুণীর খোঁজ পাননি। সারা রাত বাড়ি ফেরেনি তরুণী। তার পরেই দেহ উদ্ধার।
পরিবারের দাবি, পাশের পাড়ায় এক তরুণের সঙ্গে প্রেম করত তাদের মেয়ে। মাঝেমধ্যে ওই তরুণের বাড়ি থেকেও যেত। বাড়ি না ফেরায় তরুণীর দাদু বুধবার সকালেই ওই তরুণের বাড়ি খোঁজ করতে যান। তরুণের অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হয় তাঁর। বার বার থানায় খোঁজ নিতে যাওয়ার কথা বলা হলেও রাজি হননি ওই তরুণ। অবশেষে পুলিশের কাছ থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধারের খবর পান তাঁরা।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘‘দেহটি শনাক্ত করা গিয়েছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সে সব প্রকাশ করা যাচ্ছে না। বিকেলের মধ্যে সব কিছু পরিষ্কার করে জানানো হবে।’’