Crackers

গুদাম থেকেই বাজি বিক্রি

শব্দবাজি মিলবে কি? দোকানদার গলা নামিয়ে জানান, সে সব বাড়ির গুদামে রয়েছে। 

Advertisement

মনিরুল শেখ

কল্যাণী শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২০ ০৪:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

কয়েক দিন ধরে বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যে স্টল চালাচ্ছিলেন কল্যাণী থানার শহিদপল্লির বাজি কারবারিরা। শনিবার সেই সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই বাজি বিক্রির কায়দায় বদল চলে এল! বিক্রি অবশ্য বন্ধ হয়নি।

Advertisement

শনিবার বিকেলে শহিদপল্লিতে অস্থায়ী বাজির স্টলগুলি ছিল ফাঁকা। তবে বাজি কারবারিরা বসে ছিলেন। সম্ভাব্য খরিদ্দার দেখলেই ডেকেছেন “দাদা, বাজি লাগবে নাকি? আলোর বাজির অনেক ভ্যারাইটি রয়েছে।” শব্দবাজি মিলবে কি? দোকানদার গলা নামিয়ে জানান, সে সব বাড়ির গুদামে রয়েছে।

দোকানদারের পাশে বসা এক যুবক বললেন, “চলুন আমার সঙ্গে।” তাঁর সঙ্গে গুদামে যাওয়ার পথে তিনি বলেন, “প্রায় তিন দশক ধরে এখানে বাজির কারবার চলছে। এ বারই প্রথম এত কড়াকড়ি। তবে বিক্রি থেমে নেই।” পুলিশ কিছু বলছে না? আর এক বাজির কারবারির দাবি, “পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে যেন প্রকাশ্যে রাস্তার ধারে আমরা বাজি না বেচি।”

Advertisement

ওই যুবকের সঙ্গে বাজি কারখানায় গিয়ে দেখা গেল, আলো ও শব্দ বাজির ছোটখাটো পাহাড়! সেখানে কী নেই? চটরপটর, নানা রকমের শেল, তুবড়ি, রংমশাল, চরকা, প্যারাসুট, ফানুস থরে থরে সাজানো।

খরিদ্দারের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। দু’জন কর্মী ব্যস্ত হয়ে বাজি বিক্রি করছেন।

তবে কল্যাণী থানার আইসি মানস মজুমদার বলেন, “শুক্র ও শনিবার দফায় দফায় হানা দিয়ে একাধিক বাজির দোকান ভাঙা হয়েছে। কেউ গুদাম থেকে বাজি বেচলে তা-ও দেখা হবে। বাজি বিক্রি চলবে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement