নরেন্দ্র মোদী (বাঁ দিকে) এবং সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসতের পর শিলিগুড়ি। বুধবারের পর শনিবার ফের রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার তাঁর গন্তব্য উত্তরবঙ্গ। ৯ মার্চ সরকারি কর্মসূচিতে শিলিগুড়ি যেতে পারেন তিনি। মার্চ মাসে মোদীর চতুর্থ রাজ্য সফর নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এখনও পর্যন্ত যা ঠিক হয়েছে, তাতে ৯ মার্চ শিলিগুড়িতে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া ছাড়াও ওই দিন সেখানে একটি জনসভা করবেন তিনি।”
বিজেপি সূত্রের খবর, হুগলির আরামবাগের মতো শিলিগুড়িতেও কিছু সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করবেন তিনি। কিছু উপভোক্তার হাতে তুলে দেবেন সরকারি পরিষেবা। আগামী বুধবার বারাসতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার সুকান্ত জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই কলকাতায় চলে আসবেন মোদী। রাত্রিবাস করবেন রাজভবনে। বুধবার বারাসতে দলীয় সভায় বক্তৃতা করবেন তিনি। তা ছাড়াও ওই দিন গঙ্গার নীচ দিয়ে যাওয়া মেট্রোপথের উদ্বোধন করবেন মোদী। শনিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব তেমনটাই জানিয়েছেন।
এখনও লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। তবে নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র মারফত খবর, মার্চ মাসের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সপ্তাহে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হতে পারে। জল্পনা শুরু হয়েছে যে, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই কি এ রাজ্যে খান ছয়েক সভা করে ফেলবেন মোদী? সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করে ফেলতে পারবেন তিনি। ভোট ঘোষণার পর আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে গেলে এই সব ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তৈরি হবে।
গত শুক্রবার আরামবাগ এবং শনিবার কৃষ্ণনগর, দু’জায়গার সভা থেকেই সন্দেশখালির ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ করেন মোদী। লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রচারের সুর কার্যত বেঁধে দেন। বারাসত সন্দেশখালির আরও কাছে এবং একই জেলায়। তাই মোদীর আক্রমণের সুর আরও ঝাঁঝাল হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্য বিজেপির পরিকল্পনা, সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের কাউকে কাউকে মোদীর মঞ্চে নিয়ে গিয়ে হাজির করানোর।