ফিরহাদ-লাভলিদের নিশানা সপ্তর্ষির।
রাজনৈতিক যোগাযোগকে কাজে লাগিয়েই ভুয়ো টিকার শিবির খুলে বসেছিলেন দেবাঞ্জন দেব। পুলিশি তদন্তে ইতিমধ্যেই সে কথা উঠে এসেছে। কিন্তু এতে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা উচিত বলে এ বার সরব হলেন বাংলায় বিজেপি-র মিডিয়া সেলের প্রধান সপ্তর্ষি চৌধুরী। রাজ্যের মন্ত্রী তথা পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এবং সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রকেও তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি।
ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছে বিজেপি। শুক্রবার নেটমাধ্যমে একই অভিযোগ করেন সপ্তর্ষি। তাঁর অভিযোগ, যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী প্রচার পেতেই টিকা নিতে গিয়েছিলেন। সেখানে ভুয়ো টিকা পান তিনি। তৃণমূল বিধায়ক লাভলি প্রকাশ্য মঞ্চে জয়েন্ট কমিশনার এবং আইএএস বলে অভিযুক্তের পরিচয় দিয়েছিলেন। এর সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার। দোষীদের কাউকে ছাড় দেওয়া চলবে না।
গত ১৫ জুন সোনারপুরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন লাভলি। সেখানে তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দেবাঞ্জন। ভুয়ো টিকার বিষয়টি সামনে আসার পরই অনুষ্ঠানের সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও লাভলির দাবি, দেবাঞ্জনকে তিনি আগে থেকে চিনতেন না। তাঁর কেন্দ্রে মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং ফেস শিল্ড পাঠিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। সেই সূত্রেই ওই দিনের অনুষ্ঠানে তিনি হাজির ছিলেন। সোনারপুর থেকে দেবাঞ্জনের শিবিরে যাঁরা টিকা নিতে গিয়েছিলেন, কেউ তাঁকে জানিয়ে যাননি বলেও দাবি করেন লাভলি। দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। কিন্তু যে ব্যক্তির সম্পর্কে কিছু জানেন না, তাঁকে আইএএস অফিসার বলে কী ভাবে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন লাভলি, প্রশ্ন তুলেছেন সপ্তর্ষি।
শুধু লাভলিই নন, ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে পুর প্রশাসক ফিরহাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সপ্তর্ষি। নারদকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন ফিরহাদ। প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের সামনে কার্যত কেঁদে ফেলেন তিনি। কোভিড পরিস্থিতিতে ইচ্ছাকৃত ভাবে গোয়েন্দাদের দিয়ে রাজ্যবাসীকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। সেই সময় ফিরহাদ বলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতিতে আমাকে কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে দিল না।’’ সপ্তর্ষির অভিযোগ, ভুয়ো টিকার শিবির সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন ফিরহাদ। তাই আগেভাগে কান্নাকাটি সেরে রেখেছিলেন।