ঠাকুরনগরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। — নিজস্ব চিত্র।
দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে আসবেন না, তার ইঙ্গিত ছিল আগেই। দেখা গেল, শনিবার বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের উদ্যোগে জনসভায় গরহাজির থাকলেন দলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, স্থানীয় বিধায়কও।
সিএএ-এর সমর্থনে ডাকা ওই সমাবেশে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘‘সিএএ কার্যকর হওয়া কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।’’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনার দম থাকলে সিএএ আটকে দেখান।’’ তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, পুরোটাই ভোট আদায়ের ভাঁওতা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি মতোই এদিন এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের আসার কথা থাকলেও ব্যক্তিগত কারণে আসতে পারেননি বলে জানাচ্ছে দলের একটি সূত্র।
শনিবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে সভার আয়োজন ছিল ‘উদ্বাস্তু ও মতুয়া সমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠা’র দাবিতে। ভিড় হয়েছিল ভালই। প্রচুর মতুয়া ভক্ত এসেছিলেন।
বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামপদ দাস পরে জানান, তিনি নিমন্ত্রিত ছিলেন না। তাঁর কথায়, ‘‘শান্তনু ঠাকুর সাংসদ, তিনি জনসভার আয়োজন করতেই পারেন। তবে এটা বিজেপির সাংগঠনিক সভা ছিল না। তা হলে সবার প্রথম সভাপতিই জানতেন।’’
বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে সভায় দেখা না গেলেও তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন বলে জানাচ্ছে দলের একটি সূত্র। তবে শান্তনু নিজে সরাসরি আমন্ত্রণ না জানানোয় গোঁসা হয় তাঁর। স্বপন পরে বলেন, ‘‘জরুরি কাজে বাইরে ছিলাম। তাই যেতে পারিনি।’’
শুভেন্দু এদিন জানান, তাঁর ব্যক্তিগত মতে, এনআরসি এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ আইনও চালু করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে মঞ্চ থেকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘কান খুলে ভাল করে শুনে রাখুন, সিএএ চালু হবেই।’’ তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ, তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতা ঠাকুর পরে বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে মতুয়াদের ভাঁওতা দিতে বিজেপি ফের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলছে।’’