সিউড়ি সদর হাসপাতালে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী আব্দুল সালাম। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। সোমবার পাড়ুই থানার বেলপাতা গ্রামের ঘটনা।
আব্দুল সালাম নামে জখম ওই ব্যক্তি বর্তমানে সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর হাতে, পায়ে এবং কোমরে চোট লেগেছে। এ দিন রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে ইলামবাজার ব্লকের মঙ্গলডিহি পঞ্চায়েতের বেলপাতা গ্রামের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী আব্দুল সালাম তিলের জমিতে কাজ করছিলেন। অভিযোগ, ওই সময়ই স্থানীয় তৃণমূলের নেতা, কর্মী ও তাদের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লাঠি, রড দিয়ে আব্দুল সালামকে আক্রমণ করে। ওই সময় বাড়ি থেকে খেতে স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে আসছিলেন সালামের স্ত্রী রোজানা বিবি। স্বামীকে মার খেতে দেখে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দুষ্কৃতীরা তাঁর হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। রজামার দাবি, ‘‘কেন বিজেপি করি, এই আক্রোশ থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা স্বামীর উপরে হামলা চালায়। দল না ছাড়লে ওরা স্বামীকে খুন করবে বলেও শাসানি দিয়ে গিয়েছে।’’
ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের সহায়তায় আহত আব্দুল সালামকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিজেপি-র পাড়ুই থানা কমিটির সভাপতি শেখ সামাদের অভিযোগ, ‘‘এলাকায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দেখতে পেলেই তৃণমূল নেতৃত্ব এবং তাদের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা, বারুদ নিয়ে আক্রমণ করছে। পুলিশ গোটা বিষয়টি জেনেও শাসকদলকে মদত দিচ্ছে। আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না।’’ তাঁর দাবি, এ দিন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সালামকে খুন করতেই এসেছি। স্ত্রীর কাছ থেকে বাধা পেয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। গোটা ঘটনায় মাখড়ার গ্রামছাড়া তৃণমূল নেতা মোজু মোল্লা এবং তার দলবল যুক্ত বলে শেখ সামাদের অভিযোগ।
যদিও আক্রান্তের পরিবার এবং বিজেপি নেতৃত্ব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বে। দলের পাড়ুই থানা কমিটির চেয়ারম্যান মুস্তাক হোসেন বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ব্যক্তিগত কোনও কারণের জেরে এই ঝামেলা বলে শুনেছি। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়।’’ তৃণমূলের ওই নেতার পাল্টা দাবি, এলাকায় দলের প্রতি মানুষের সমর্থন থেকে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। বিজেপি সে অভিযোগ মানতে চায়নি।