Suvendu Adhikari

শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটেও ভরাডুবি তৃণমূলের! ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জিতল বিজেপি

১৯৬৩ সালে তৈরি হয় এই সমবায়টি। এত দিন সেখানে পরিচালন সমিতির সদস্যদের মনোনীত করা হত। এই প্রথম বার এই সমবায়ে নির্বাচন হল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪ ১৯:৫৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামে লোকসভা ভোটের পর সমবায় নির্বাচনেও ভরাডুবি হল শাসকদল তৃণমূলের। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের হরিপুরের প্রিয়ানগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জিতল বিজেপি।

Advertisement

১৯৬৩ সালে তৈরি হয় এই সমবায়টি। এত দিন সেখানে পরিচালন সমিতির সদস্যদের মনোনীত করা হত। এই প্রথম বার এই সমবায়ে নির্বাচন হল। সমবায়ে মোট ভোটার ৬৬০। বিজেপি ১২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল ১০ ও বামেরা তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। রবিবার কড়া নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ হয়। বিকেলে ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, একটি বাদে সব ক’টি আসনেই জিতেছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে তমলুক কেন্দ্রের অন্তর্গত নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ভোটের ব্যবধান ছিল প্রায় ন’হাজার।

এর পরেই বিজয় উৎসবে মেতে ওঠেন পদ্মশিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযোগ, সেই সময় দুই বিজেপি কর্মীকে পাকড়াও করে পুলিশ। তা নিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বাধে। বিজেপির দাবি, কী কারণে দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করা হল, তা স্পষ্ট ভাবে জানায়নি পুলিশ। বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘আজ একেবারে উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে। হলদিয়ার মহকুমাশাসক সকাল থেকেই এখানে উপস্থিত ছিলেন। ভোটের ফলঘোষণার পরেই দুই বিজেপি কর্মীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। কেন এই গ্রেফতার, তা জানানো হয়নি। তৃণমূল ভোটে হেরে যাওয়াতেই অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুলিশ। তাঁদের এই ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে আমরা রাজনৈতিক লড়াইয়ের পাশাপাশি আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।’’

Advertisement

যদিও এই নির্বাচনে হারকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলেই দেখছে তৃণমূল। নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, ‘‘এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক নির্বাচন। প্রান্তিক মানুষেরা এখানে টাকার লেনদেন করেন। তাঁরা নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন এই ভোটের মাধ্যমে। কিন্তু এই নির্বাচনকে সামনে রেখে রণংদেহি মেজাজে ছিল বিজেপি। বহিরাগত বাইক বাহিনীকে এলাকায় জড়ো করে ভোট করিয়েছে তারা। লোকসভা ভোটে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী কাঙ্ক্ষিত ফল পায়নি। তাই এই সমবায়ের নির্বাচনে মেঘনাদ পালের নেতৃত্বে বিজেপির লোকেরা অতিসক্রিয় হয়ে এলাকার দখল নিয়ে এই ভোটে জয়লাভ করেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement