—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আর জি কর-কাণ্ডকে সামনে রেখে রাজ্য প্রশাসনে ‘পচন’ ধরেছে, এই অভিযোগ তুলে সোমবার ‘শুদ্ধিকরণ অভিযানে’ নামল বিজেপি। দলের মহিলা মোর্চার ডাকে কলকাতার বেশ কয়েকটি থানায় এই কর্মসূচি করল তারা। কলকাতা পুলিশের ডিসি (নর্থ)-র দফতরের সামনে ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধল। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বিজেপিকে আগে নিজেদের ঘরশুদ্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে।
ডিসি (নর্থ)-র দফতরে শুদ্ধকরণ অভিযানের জন্য মানিকতলায় দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়, উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ প্রমুখের উপস্থিতিতে মিছিল শুরু করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। তাঁরা সুকিয়া স্ট্রিটে পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান। তবে ডিসি (নর্থ)-র দফতরের সামনে পুলিশ আন্দোলনকারীদের আটকালে ধস্তাধস্তি বাধে। সেখানেই রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। শুরু হয় ঝাঁট দেওয়া, গঙ্গাজল ছেটানো। আর জি কর-কাণ্ডে তৎকালীন ডিসি (নর্থ) অভিষেক গুপ্তকে সিবিআই তদন্তের আওতায় আনার জন্য এ দিন ফের দাবি জানিয়েছে বিজেপি।
এই সূত্রেই টালা থানার ওসি-র গ্রেফতারের প্রসঙ্গ টেনে নরেন্দ্রপুর থানায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেছেন, “আমরা চাই, থানাগুলির শুদ্ধকরণ হোক।” তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে গ্রেফতারের দাবিও ফের জানিয়েছে বিজেপি। বিনীতকে গ্রেফতার করা হলে তদন্তে গাফিলতির ক্ষেত্রে পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগসূত্রও সামনে আসবে বলে দাবি করেছে তারা। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালের উপস্থিতিতে যথাক্রমে বেহালা ও হাওড়া সদর থানার সামনেও শুদ্ধকরণ কর্মসূচি করে বিজেপি। মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্রের নেতৃত্বে নৈহাটি থানার সামনেও একই কর্মসূচি ছিল।
যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের পাল্টা কটাক্ষ, “বিজেপির ঘরেই তো ব্রিজভূষণ সিংহ রয়েছেন। হাথরস, উন্নাওয়ের মতো ঘটনাও রয়েছে। এই রাজ্যে একাধিক নেতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আছে। তাই নাটক ছেড়ে আগে নিজেদের ঘর শুদ্ধ করুন!”