Rameswar Teli

Rameswar Teli: দলীয় মহিলা কর্মীর প্রশ্নে বিড়ম্বনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি বৃহস্পতিবার বোলপুর শহরে এসেছেন। শুক্রবার সকালে কঙ্কালীতলা মন্দিরে পুজো দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর ও মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২২ ০৭:১৩
Share:

ফাইল ছবি

তিনি এসেছেন সাংগঠনিক বৈঠক করতে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় পড়তে হল, দলেরই এক মহিলা সমর্থক রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে প্রশ্ন করে বসায়!

Advertisement

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি বৃহস্পতিবার বোলপুর শহরে এসেছেন। শুক্রবার সকালে কঙ্কালীতলা মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এর পরে মন্ত্রী যান বোলপুর গীতাঞ্জলি পেক্ষাগৃহে উজ্জ্বলা যোজনায় রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার একটি সরকারি অনুষ্ঠানে। সেখানে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণচন্দ্র ঘড়ুই, দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বেশ কয়েক জনকে এলপিজির নতুন সংযোগ দেওয়া হয়। এর পরেই উজ্জ্বলা নিয়ে কারও কোনও সমস্যা রয়েছে কি না মন্ত্রী জানতে চাইলে বিজেপি সমর্থক পূর্ণিমা হাজরাবলে ওঠেন, “গ্যাসের দাম যেন কমানো হয়। দিনের পর দিন গ্যাসের দাম বেড়েই চলেছে।’’ এখানেই না-থেমে তিনি বলতে থাকেন, ‘‘সাধারণ মানুষ উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস নিতে পারছে। কিন্তু, এত দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতি মাসে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে উঠছে না। যার ফলে কাঠকয়লা বেছে নিতে হচ্ছে অনেককে।”

মন্ত্রী তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির ফলেই দেশে গ্যাস ও পেট্রল-ডিজ়েলের দাম বাড়ছে। পরে পূর্ণিমার প্রশ্ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি চাই গ্যাস ও পেট্রলের দাম যেন না-বাড়ে।’’ রাজ্য সরকার কোনও সহযোগিতা করছে না বলেও তাঁর অভিযোগ। মন্ত্রীর ক্ষোভ, ‘‘অনেক কিছু নিয়মের মধ্যে পড়ে। যেমন আমি এক জন মন্ত্রী এখানে এসেছি। জেলাশাসকের উচিত এসে আমার সঙ্গে দেখা করার। কিন্তু, উনিও আসেননি। তাই অনেক কিছু নিয়মের বাইরে ও কাজ হচ্ছে।’’ বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “ওরা (বিজেপি) নিজেদের ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করে না, মানুষকে শুধু ভুল বোঝায়।এখন দলের কর্মীদেরই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।”

Advertisement

রান্নার গ্যাসের আগুন দাম নিয়ে এ দিন প্রশ্নের মুখে পড়েন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষও। তিনি বুধবার মেদিনীপুর শহরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুফল ঠিকঠাক পৌঁছচ্ছে কি না, সে খোঁজখবর নিতে। ছোটবাজারের অদূরে কয়েকটি বাড়িতে যান দিলীপ। সেখানে তাঁর কাছে এক বধূ জানতে চান, ‘‘রান্নার গ্যাসেরদাম এ ভাবে বাড়ছে কেন?’’ওই মহিলাকে এই প্রশ্নের কোনও জুতসই উত্তর দিতে পারেননি দিলীপ। তড়িঘড়ি এলাকা ছাড়েন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement