বামফ্রন্ট সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করতে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবিতে এক সময়ে সরব হতেন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে এ বার একই অস্ত্র প্রয়োগ করতে চাইছে বিজেপি! নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে এখন যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন মমতা। তাঁকে পাল্টা চাপে ফেলতে বিজেপি এ রাজ্যে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সক্রিয়তার দাবি করতে চলেছে।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপি-র তরফে এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও তাঁর সহকারী সিদ্ধার্থনাথ সিংহের উপস্থিতিতে শুক্রবার নিউ টাউনে আলোচনায় বসেছিল দলের কোর কমিটি। রোজভ্যালি-কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতারির পরে কলকাতায় বিজেপি-র সদর দফতর ও বিভিন্ন জেলার কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতৃত্ব ঠিক করেছেন, রাজ্যে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ এবং তার জন্য কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবিতে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন। প্রাথমিক ভাবে আগামী ২৩ থেকে ২৯ জানুয়ারি ব্লকে ব্লকে বিডিও-র কার্যালয়ে ধর্না হবে। তার পরে ৬ ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনার ময়দানে সমাবেশ করে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে আনতে চায় বিজেপি।
তার মানে কি বিজেপি রাজ্যে ৩৫৬ ধারা চাইছে? এক রাজ্য নেতার বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্র কী ভাবে হস্তক্ষেপ করবে, ৩৫৬ ধারা দেবে কি না, সেটা তারাই ঠিক করুক। আমরা শুধু গণতন্ত্র বাঁচাতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের বিষয়টা সামনে আনতে চাইছি।’’ ‘বিশেষ হিন্দু সম্মেলনে’র জন্য এখন কলকাতায় আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। কেশব ভবনে এ দিন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি জানান বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ। ভাগবতের পরামর্শ, তাঁদের জন্য যে অনুকূল পরিস্থিতি রাজ্যে তৈরি হয়েছে, তাকে কাজে লাগাতে হবে।