কর্মীদের অযোধ্যা ভ্রমণ চায় বিজেপি। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
অযোধ্যা রথে চেপেই লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে চায় বিজেপি। তাই গোটা দেশের মতো রাজ্য বিজেপিও বাংলার কর্মী, সমর্থকদের অযোধ্যা নিয়ে যেতে চায় ভোটের আগে। ২২ জানুয়ারি মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময়ে অযোধ্যায় ভিড় চান না বলে আগেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্য বিজেপি তাই ২৬ জানুয়ারির পরে কর্মীদের নিয়ে যেতে চায় অযোধ্যা। মঙ্গলবার দলের বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পাশাপাশি একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই ঠিক হয়েছে বিজেপির উদ্যোগে কেউ অযোধ্যা যেতে চাইলে কত টাকা খরচ হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নিউ টাউনের একটি হোটেলে দিনভর চলে বিজেপির বৈঠক। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সেই বৈঠকেই বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম রামমন্দির দর্শন। যা ঠিক হয়েছে তাতে ২২ জানুয়ারি কর্মীরা দূরের কথা, রাজ্য নেতারাও কেউ অযোধ্যায় যাবেন না। তার বদলে সেই সময়ে নিজের নিজের এলাকার কোনও মন্দিরে উৎসব পালন করবেন। এর পরে নিজেরা যাবেন এবং আরও কর্মী, সমর্থক যাতে যেতে পারেন তার ব্যবস্থাও করবেন।
বিজেপি চায় রেল ওই সময়ে বাংলা থেকে প্রতিদিনই অযোধ্যগামী বিশেষ ট্রেন চালাক। ইতিমধ্যেই ২৬ জানুয়ারির পরে এবং ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে প্রতি লোকসভা আসন পিছু যাতে একটি করে ট্রেন চালানো যায় সে অনুরোধ করা হয়েছে রেলমন্ত্রকের কাছে। বাংলা থেকে কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে যে কমিটি করা হয়েছে তার মাথায় রয়েছেন তিন রাজ্য নেতা বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঋত্বিক পাল। ঠিক হয়েছে, প্রত্যেক কর্মী সমর্থককে ট্রেন ভাড়া দিতে হবে। দলে কোনও ট্রেন আলাদা করে নেবে না। ট্রেনের টিকিট কাটা হবে। ভাড়া বাবদ দলকে ১,২০০ টাকা দিতে হবে। তাতেই যাতায়াতের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। অযোধ্যায় থাকা এবং খাওয়ার খরচ লাগবে না। তার ব্যবস্থা দলের পক্ষেই হবে। জানা গিয়েছে, থাকার জায়গা দেবে রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। খাওয়ার খরচ বহন করবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, এই ট্রেনগুলিতে বিজেপির সহযোগিতা ছাড়াও যে কেউ টিকিট কেটে অযোধ্যা যেতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হবে।
মঙ্গলবার বিজেপির বৈঠকে ঠিক হয়েছে দলের সর্বস্তরে এ নিয়ে প্রচারে নামতে হবে। প্রতিটি ব্লক থেকেই কর্মীরা যাতে যান সে ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, যাঁরা অযোধ্যায় যাবেন তাঁরা বাড়ি ফিরে সেই গল্প শোনাবেন অন্যদের। রামমন্দির নিয়ে আবেগ তৈরি করাই বিজেপির লক্ষ্য। আর সেই আবেক নির্বাচন পর্যন্ত টিকিয়ে রাখাও লক্ষ্য। তাই মার্চ মাসেও অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়ার কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারে বিজেপি। সেটা পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভাবনা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের।