নতুন পদক্ষেপ —প্রতীকী চিত্র।
দলের ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়ে যাওয়া কর্মীদের তালিকা তৈরি শুরু করতে চলেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ বুধবার বনগাঁ, বারাসত, বসিরহাট, হাওড়া এবং হুগলির জেলা নেতৃত্ব এবং মণ্ডল সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দলীয় সূত্রের খবর, সেখানে বুথ স্তর পর্যন্ত ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়ে যাওয়া কর্মীদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দলে যাঁরা এখনও ‘সক্রিয়’ রয়েছেন, তাঁদের তালিকাও তৈরি করতে বলেছেন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরে ‘নিষ্ক্রিয়’ কর্মীর সংখ্যা বেশি বলে বৈঠকে জানিয়েছেন জেলা নেতারা। তাৎপর্যপূর্ণ হল, বিধানসভা ভোটের আগে বীজপুরে বিজেপির কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকত প্রাক্তন বিধায়ক তথা মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের। বিধানসভা ভোটে বিজেপির পরাজয়ের পরে মুকুলবাবু এবং শুভ্রাংশু দু’জনেই তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে জেলা এবং মণ্ডল নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন দিলীপবাবু, শিবপ্রকাশ প্রমুখ। প্রতিটি বৈঠকেই জেলা এবং মণ্ডল নেতারা জানিয়েছেন, ভোটে হারের পরে দল এখন কার্যত ভাঙা হাট। অনেকেই দলীয় কর্মসূচিতে আসেন না, এমনকি যোগাযোগও রাখতে চান না। এই প্রেক্ষিতেই এ বার ‘বসে যাওয়া’ কর্মীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তিন দিন ধরে একের পর এক বৈঠকে অনেকে আরও অভিযোগ করেছেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জেলা নেতৃত্বের কথা না শুনে দিল্লি নিজের মত চাপিয়ে দেওয়ায় ভোটে পরাজয় হয়েছে। সেই অভিযোগ লিখিত ভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট মেল আইডি দিয়েছেন শিবপ্রকাশ।
দিলীপবাবু এ দিন বলেন, ‘‘আমরা পর্যালোচনা করলাম। দলকে দাঁড় করানোর জন্য সাংগঠনিক কিছু রদবদল করা হতে পারে।’’ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা যাঁরা ফের তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছেন, তাঁদের নিয়ে দিলীপবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘তৃণমূল থেকে হাজার হাজার মানুষ এসেছিলেন। তাঁদের উপযুক্ত সম্মান ও কাজ দেওয়া হয়েছিল। দু’-এক জন ফিরে গেলে ব্যতিক্রম বলে ধরতে হবে।’’