প্রতীকী চিত্র।
পুর নির্বাচন নিয়ে তৎপরতায় ছায়া ফেলছে করোনা-আতঙ্ক। একাধিক রাজনৈতিক দল মনে করে, নির্বাচন কমিশনের উচিত এই পরিস্থিতি বিবেচনা করা। যদিও সরাসরি নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কথা এখনও কেউ বলেনি। তবে কাল, সোমবার কমিশনের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে করোনা-পরিস্থিতি আলোচনায় আনা হতে পারে।
বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য দলের সহ সভাপতি সুভাষ সরকার শনিবার বলেন, ‘‘করোনা যে ভাবে বিশ্ব জুড়ে মহামারীর আকার নিয়েছে, তাতে সব দেশই জন সমাবেশ বন্ধ রাখছে। আমেরিকার একটি প্রদেশ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও ভোট পিছনো উচিত কি না, তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভাইরোলজিস্টদের সঙ্গে পরামর্শ করুক।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুরভোট যখনই হোক, সব দলই যাতে প্রচারের সুযোগ পায়, তা কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে। আর অনেক পুরসভার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই পুরভোট অনির্দিষ্ট কাল ফেলে রাখাও ঠিক হবে না।’’ শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পুরভোট বন্ধ করে করোনা-সমস্যার সমাধান হবে না।’’ কংগ্রেসের শুভঙ্কর সরকারের বক্তব্য, ‘‘করোনা-পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র রাজ্য বা কেন্দ্র কেউই জানাচ্ছে না। রাজ্য সরকার আগে সব দলের সঙ্গে করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করুক। তার পরে কমিশন ভোটের দিন নিয়ে চর্চা করুক।’’
রাজ্যের শাসক তৃণমূলের নেতা তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য বলেন, ‘‘নির্বাচন কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। তবে এখন বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের সুযোগ আছে। তাই সংক্রমণের আশঙ্কা বাঁচিয়েও প্রচার করা সম্ভব।’’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অবশ্য মত, পুরভোটে বিজেপির ফল খারাপ হলে বিধানসভা ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে ধরে নিয়েই ভোট পিছোতে তারা বেশি উদ্যোগী। যদিও সুভাষবাবু বলেন, ‘‘আমরা ভোট পিছনোর দাবি করছি না। কারণ তাতে অন্য ব্যাখ্যা হতে পারে। আমরা বলছি, রাজ্য সরকার খোলা মনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করুক। বিজেপি যে কোনও সময় ভোট লড়তে প্রস্তুত।’’