হেস্টিংসে ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন জে পি নড্ডা নিজস্ব চিত্র
বাংলার গর্ব ফিরিয়ে আনা এবং সোনার বাংলা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। বৃহস্পতিবার হেস্টিংসে বিজেপি-র নির্বাচনী কার্যালয়ে ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।
‘সোনার বাংলা’ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। দলের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে রাজ্য নেতা সকলের মুখেই ‘সোনার বাংলা’ তৈরির কথা শোনা যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, ‘সোনার বাংলা’ বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাইছে বিজেপি? বৃহস্পতিবার সেই প্রশ্নেরই উত্তর দেন নড্ডা। বলেন, ‘‘সোনার বাংলা বলতে আমরা বাংলার গৌরব, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের কথা বলছি। তা ফিরিয়ে আনার কথা বলছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-র সময় যে বাংলা ছিল, তার কথা বলছি। সে সময় সবদিক থেকে উন্নত ছিল বাংলা। বাংলার গৌরব, সংস্কৃতি বিশ্বজুড়ে পরিচিতি ছিল। আর এখন দুর্নীতি, তোলাবাজি, সিন্ডিকেটে চলছে বাংলায়। এর থেকে পরিবর্তনের কথা আমরা বলতে চাইছি। আর সেই পরিবর্তনের মাধ্যমেই তৈরি হবে সোনার বাংলা। যে বাংলা ভারতকে নেতৃত্ব দিত আমরা সেই বাংলা ফিরিয়ে আনব।’’
নির্বাচনে জিতলে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে বিজেপি কী কী পদক্ষেপ করবে বৃহস্পতিবার তারও একটি রূপরেখা তুলে ধরেন নড্ডা। বলেন, ‘‘সোনার বাংলায় কোনও কাটমানি থাকবে না। বাংলা হবে দুর্নীতিমুক্ত এবং উন্নয়নযুক্ত। কোনও সিন্ডিকেট, মাফিয়ারাজ থাকবে না। স্থানীয় বাজারের দ্রব্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে নিয়ে যাব। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বাংলায় যে নকশালপন্থী কার্যকলাপ চলছে আমরা তা বন্ধ করব। বাংলার সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনব।’’ পাশাপাশি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়েও বৃহস্পতিবার একাধিক প্রতিশ্রুতি দেন নড্ডা। তিনি জানান, বিজেপি ক্ষমতায় এলে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প চালু হবে। মতুয়া ও নমঃশূদ্রদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেবে বিজেপি। ওই সম্প্রদায়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরদের জন্য থাকবে বৃত্তির ব্যবস্থাও।
‘সোনার বাংলা’ তৈরি করতে গেলে বাংলার মানুষের যোগদান প্রয়োজন। তাঁদের পরামর্শ নেওয়া দরকার। তাই বাংলার ২ কোটি মানুষের কাছ পরামর্শ নেওয়া হবে বলে জানান নড্ডা। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা মনে করি সব বুদ্ধি শুধু আমাদের কাছে আছে এমনটা নয়। বাংলার বুদ্ধিমান জনতা জানেন কিভাবে সোনার বাংলা বানাতে হয়। তাই বিজেপি কর্মীরা ঘুরে ঘুরে বাংলার ২ কোটি মানুষের পরামর্শ নেবেন। তাঁদের কী আশা-আকাঙ্ক্ষা রয়েছে সেগুলো গ্রহণ করবেন। তারপরই সোনার বাংলার দিকে আমরা এগোব।’’ বিজেপি সূত্রে খবর, ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ কর্মসূচিতে বাংলার মানুষের কাছ থেকে যে সমস্ত পরামর্শ নেওয়া হবে। সেগুলি বিজেপি-র বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তাহারে রাখা হবে।