—প্রতীকী চিত্র।
গত বার হয়েছিল সাত দফায়। এ বার এক ধাপ এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত দশ দফায় বিধানসভা নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সুপারিশ করলেন বিজেপি নেতারা। কারচুপি রুখতে ভোটের জন্য কমিশনের বানানো কোভিড নীতিতে পরিবর্তনের দাবিও তুললেন তাঁরা। পাল্টা আক্রমণে তৃণমূল শিবিরের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে বাংলার মানুষকে ভয় দেখাতে চাইছে বিজেপি।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে আজ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত, দলের সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদবেরা। বৈঠকের শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের দিলীপবাবু জানান, “রাজ্যে অন্তত দশ দফায় ভোট করানোর অনুরোধ করা হয়েছে। কারণ যত বেশি দফায় ভোট হবে, তত বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সম্ভব হবে।”
আজ শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে রাজ্যের প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সুপারিশ করা হয়েছে। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, রাজ্য পুলিশের উপর দলের ভরসা নেই। তাই বিজেপির দাবি, অশান্তি রুখতে যত বেশি সম্ভব কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করুক কমিশন। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের যে অফিসারেরা পক্ষপাতদুষ্ট বলে চিহ্নিত, তাদের অবিলম্বে অন্যত্র বদলি করার দাবি তোলেন দিলীপ-লকেটেরা।
গত বছর করোনা সংক্রমণের মধ্যে বিহারে ভোট হওয়ায় একাধিক নতুন নিয়ম চালু করেছিল কমিশন। পরিস্থিতি অনেকাংশেই স্বাভাবিক হয়ে আসায় তা প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে বিজেপি। বিহারের নির্বাচনে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বেদের যাতে ভোট কেন্দ্রে আসতে না-হয়, সে জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করেছিল কমিশন। পশ্চিমবঙ্গে সেই নিয়ম পালন হলে কারচুপির আশঙ্কা রয়েছে। তাই বয়স্ক ব্যক্তি যারা বুথে গিয়ে ভোট দিতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য বুথের ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছেন স্বপন দাশগুপ্তরা।
পাল্টা আক্রমণে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “প্রতিবারই নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা হয়। রাজ্যের পরিস্থিতি যদি এতটাই খারাপ হত, তা হলে লোকসভা নির্বাচনে আঠারোটি আসন দখল করতে পারত বিজেপি? লোকসভার পরেই তিনটি উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকতেও হেরে গিয়েছে বিজেপি। আসলে সবই তৃণমূল তথা রাজ্যকে বেকায়দায় ফেলার কৌশল। এখন বিজেপি দশ দফায় ভোট চাইছে। পরে একশো দফায় ভোট করতে বলবে।”